বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫ ।। ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৮ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
আধুনিক ইতিহাসে অন্যতম নিষ্ঠুর গণহত্যাকারী ইসরায়েল: জাতিসংঘের বিশেষ দূত জুলাই সনদ ছাড়া নির্বাচনে যাবে না এনসিপি: নাহিদ ইসলাম গুমের সঙ্গে জড়িত সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: সেনাবাহিনী জাতিসংঘের সমকামী দূত ও কার্যালয় স্থাপন বাতিলের দাবি খেলাফতের ভোর থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৭৩ ফিলিস্তিনি নিহত তাবেলা সিজার হত্যা : তিনজনের যাবজ্জীবন, চারজন খালাস হযরত মুহাম্মদ (সা.) -এর অবমাননা একটি উসকানিমূলক ও ঘৃণিত কাজ জামেয়া ইসলামিয়া মুনশীবাজারে প্রয়াত শিক্ষকদের স্মরণে আলোচনা সভা ১২ জুলাই মুহতামিম সম্মেলন সফল করতে মানিকছড়িতে মতবিনিময় সভা শুটকি মাছের পুষ্টিগুণ

সোমবার-বৃহস্পতিবারে রোজা রাখার বিশেষ গুরুত্ব ও ফজিলত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুহিব্বুল্লাহ কাফি।।

ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের মধ্যে রোজা হলো একটি। ফরজ ওয়াজিব সুন্নতসহ বহুমাত্রিক রোজা রয়েছে। রোজা আল্লাহ তাআলার নিকট প্রিয় একটি ইবাদত। কেননা, রোজা রাখা হয় শুধু আল্লাহ তাআলার জন্য। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তাআলা বলেন, রোজার প্রতিদান আমি নিজে দেবো বা রোজার প্রতিদান আমি নিজে-ই। এতেই প্রতীয়মান হয় যে, রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব কতোটুকু।

আল্লাহ তাআলা রমজানের রোজাকে প্রত্যেক মুসলমানের ওপর ফরজ করেছেন। তবে,মান্নতের রোজা রাখাও আবশ্যক। হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানের রোজা ব্যতীতও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন উপলক্ষে এবং বিশেষ দিনেও রোজা রেখেছেন। তন্মধ্যে, সোমবার ও বৃহস্পতিবার হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোজা রেখেছেন খুব গুরুত্বসহকারে। এবং সাহাবিদের এ দুদিন রোজা রাখার প্রতি উৎসাহিত করেছেন।

সোমবার ও বৃহস্পতিবারে রোজা রাখার ফজিলত:

আম্মাজান হজরত আয়শা (রা.) বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখতেন। তিরমিজি,নাসায়ি

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু বর্ণনা করেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার আল্লাহ আলার নিকট বান্দার আমলসমূহ পেশ করা হয়। সুতরাং আমার আমলসমূহ যেনো রোজা পালনরত অবস্থায় উপস্থাপিত হয়_ এটাই আমার পছন্দনীয়। তিরমিজি-৭৪৭,নাসায়ি কুবরা-২৬৬৭

অন্যত্র হযরত আবু হুরায়রা রা. বর্ণনা করেন, একদিন হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে তাঁর সোম ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আল্লাহ তাআলা সোম ও বৃহস্পতিবার প্রত্যেক মুসলমানের গুনাহ ক্ষমা করে দেন। কিন্তু পরস্পর সম্পর্ক ছিন্নকারীর ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেন, এদের ছেড়ে দাও যতক্ষণ পর্যন্ত না এরা নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে। ইবনে মাজাহ,তারগিব

অন্য হাদিসে হজরত আবু কাতাদা আনসারী রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সোমবার রোজা রাখার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এদিনে আমি জন্ম নিয়েছি এবং এদিনেই আমার ওপর কোরআন নাযিল হয়েছে। মুসলিম-২৮০৭,আবু দাউদ-২৪২৮ এ

রোজা রাখার সাতটি ফজিলত:

(১) আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন। হাদিসে কুদসিতে মহান রাব্বুল আলামিন বলেছেন, রোজা প্রতিদান আমি নিজেই বা আমি নিজ হাতে রোজার প্রতিদিন দেবো।

(২) রাসুল সা. এর অনুসরণ-ই ফজিলত। তিরমিজি,নাসাঈ,ইবনে মাজাহ

(৩) আল্লাহ তাআলা বান্দার থেকে জাহান্নামকে একশ বছরের দূরত্বে হটিয়ে রাখবেন। আস সিলসিলাতুস সহিহা- খণ্ড-৬,২৫৬৫

(৪) আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলা বান্দা এবং জাহান্নামের মাঝে আসমান ও জমিনের দূরত্ব সমান খন্দক তৈরি করে রাখেন। আস সিলসিলাতুস সহিহা-খণ্ড-২-৫৬৩

(৫) রোজা কিয়ামতের দিন বান্দার মুক্তির জন্যে সুপারিশ করবে। আহমদ-খণ্ড-২-১৭৪

(৬) কিয়ামতের দিন রোজাদার ব্যক্তি জান্নাতের বাবুর রাইয়ান দিয়ে প্রবেশের সুযোগ লাভ করবে। বুখারি-১৮৯৬,মুসলিম-১১৫২

(৭) রোজা অবস্থায় ইন্তেকাল করার সম্ভাবনা এবং জান্নাত লাভ। সহিহ আল জামে- ৬২২৪

মোদ্দা কথা হলো, সপ্তাহে এ দুদিন যেহেতু বান্দাদের আমলসমূহ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলার নিকট পেশ করা হয় তাই আমরা চেষ্টা করবো রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণে সপ্তাহে সোম ও বৃহস্পতিবার রোজা রেখে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করবো। আল্লাহ তাআলা সমগ্র উম্মতে মুহাম্মদিকে ফরজ ওয়াজিব সুন্নাতের পাশাপাশি বেশি বেশি নফল ইবাদত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এনটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ