মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫ ।। ৪ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২৫ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি কি ইসলামপন্থীদের আস্থা হারাচ্ছে?  নোয়াখালীতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৩০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা গণতন্ত্রকামী দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হলে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসন হবে: তারেক রহমান ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী ৬৫৮ জন, হল সংসদে ১ হাজার ৪২৭ মাইলস্টোনের তিন শিক্ষক জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন জুমার নামাজে না গেলে দুই বছরের দণ্ড হতে পারে  রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নির্বাচন জরুরি: মির্জা ফখরুল সৌদি আরবে নতুন হজ কাউন্সেলর কামরুল ইসলাম তাওয়াফের সময় হাজরে আসওয়াদের সামনে দাঁড়িয়ে না থাকার নির্দেশ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ১০০০ বৃক্ষরোপণ

জেনে নিন শিশুর কৃমির লক্ষণ ও করণীয়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: শিশুদের সব সময়েই পেট ব্যথা করে এমন কথা শুনে থাকি আমরা। একই সাথে অনেক সময় চুলকানির কথাও বলে থাকে। কৃমির কারণে শিশু অপুষ্টিতে আক্রান্ত হয়। কৃমি অন্ত্রে রক্তপাত ঘটিয়ে একদিকে শিশুকে রক্তশূন্য করে অন্যদিকে, অন্ত্রে পুষ্টি উপাদানের পরিপাক ও শোষণে বাধার সৃষ্টি করে ডায়রিয়া ঘটায়।

জেনে নিন শিশুদের কৃমির লক্ষণ ও করণীয়:

কৃমির লক্ষণ:

খাদ্যে অরুচি, পেট ব্যথা, পাতলা পায়খানা, বমি বমি ভাব, পায়খানার রাস্তায় চুলকানি ইত্যাদি সমস্যাগুলো প্রায়ই শিশুদের মাঝে দেখা যায়।

অস্বাস্থ্যকর টয়লেট ব্যবস্থা, অপরিষ্কার ঘরবাড়ি, দূষিত পানির ব্যবহার, টয়লেট শেষে ভালোভাবে হাত না ধোয়া, খাবার তৈরি বা গ্রহণের আগে ভালো করে হাত না ধোয়া। এছাড়া হাতের নখ বড় রাখা, দাঁত দিয়ে নখ কাটা ইত্যাদি কারণে সংক্রমণ দেখা দেয়।

কৃমির প্রকারভেদ:

বিভিন্ন প্রকার কৃমির মধ্যে গোলকৃমি, ফিতা কৃমি ও গুঁড়া কৃমির প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। কখনও কখনও গোলকৃমি শিশুর নাক-মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে। যা শিশুর শ্বাসনালিতেও প্রবেশ করতে পারে। এছাড়া এটি শিশুর পিত্তনালিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে। ফিতা কৃমি শিশুর অন্ত্রে লেগে থেকে রক্তপাত ঘটায়। এতে শিশু ধীরে ধীরে রক্তশূন্য হয়ে পড়ে। এমনকি গুঁড়া কৃমি পায়খানার রাস্তায় চুলকানি সৃষ্টি করে।

এছাড়া দীর্ঘমেয়াদি কৃমিতে সংক্রমণের কারণে শিশুর খাদ্যে অরুচি হয়। যার ফলে সে ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে। এতে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়।

প্রতিরোধ

১. গৃহস্থালির কাজে নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করতে হবে।

২. স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

৩. খাবারের আগে বা টয়লেটের পরে নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

৪. শিশুদের হাতের নখ বড় রাখা যাবে না এবং দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যাস পরিহার করতে হবে।

৫. সময়মতো কৃমিনাশক ওষুধ গ্রহণ করতে হবে।

৬. মানুষের অপরিশোধিত মল জমির সার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।

এছাড়া শিশু কৃমিতে দীর্ঘমেয়াদি সংক্রমণ এবং শিশুর স্বাস্থ্যের নানান ধরনের সমস্য়া দেখা দিলে সাথে সাথেই চিকিৎসার জন্য ডাক্তার সাথে যোগাযোগ করুন। ডাক্তারের নির্দেশানা অনুসারে চিকিৎসা গ্রহণ করুন।

-এসআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ