বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ২ পৌষ ১৪৩২ ।। ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভারতের 'নসিহত' অগ্রহণযোগ্য: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আওয়ামী লীগের ‘সন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে ‘মামলা না থাকলেও’ গ্রেপ্তারের নির্দেশ ৬ দফা দাবিতে ঐক্যবদ্ধ বিবৃতি দিল ছাত্রশিবিরসহ ১৮ ছাত্রসংগঠন ২০ ফেব্রুয়ারি শুরু একুশে বইমেলা আশার বাণী নয়, প্রধান উপদেষ্টার কাছে মানুষ পদক্ষেপ দেখতে চায়: অধ্যক্ষ ইউনুস মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীবকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শীর্ষ আলেমদের সমর্থন এমন কিছু ঘটবে যা সারাদেশ কাঁপাবে, বান্ধবীকে শুটার ফয়সাল দাড়ি-টুপিকে রাজাকারের প্রতীক বানানোর ইস্যুতে হেফাজতের তীব্র প্রতিবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে কুরআন শিক্ষা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়- ধর্ম উপদেষ্টা ‘বাবরের পথ ধরো, সেভেন সিস্টার স্বাধীন করো’ স্লোগান জুলাই ঐক্যের

উন্নত জীবনের জন্যই ডেল্টা প্লান: প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: সরকারের ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ বাস্তবায়নে বন্ধু দেশ ও উন্নয়ন অংশীদারদের সহযোগিতা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত জীবন নিশ্চিত করতেই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে ‘বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ আন্তর্জাতিক সম্মেলন: সমস্যা ও বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

গণভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশ হল একটি ব-দ্বীপ, যেখানে সাতশ নদী এবং বিস্তীর্ণ নিচু জমি ও জলাভূমি রয়েছে এবং আমাদের এটিকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যাতে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সুন্দরভাবে বসবাস করতে পারে। আমরা সেভাবেই ব্যবস্থা নিচ্ছি।”

বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা তথ্য-প্রযুক্তি ও জ্ঞানভিত্তিক একটি টেকনো-ইকোনমিক মহাপরিকল্পনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ পরিকল্পনার পর্যায়ক্রমিক বাস্তবায়নে ২০২৫ সাল নাগাদ জিডিপির প্রায় ২ দশমিক ৫ শতাংশ অর্থের প্রয়োজন হবে।

“ফলে অর্থায়ন থেকে শুরু করে জ্ঞান, প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশে-বিদেশে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।”

জলবায়ু পরিবর্তনের কথা মাথায় রেখেই সরকার স্বল্প মেয়াদি, মধ্য মেয়াদি ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, যাতে বাংলাদেশকে আমরা সুরক্ষিত করতে পারি। শুধু আজকের জন্য নয়, আগামী প্রজন্মের জন্যও বাংলাদেশ যাতে টেকসই হয়, এর অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি যাতে অর্জন করা সম্ভব হয়।”

স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধু ব-দ্বীপের সম্পদের সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, “জাতির পিতা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ভারতের সঙ্গে স্থায়ীভাবে একটি যৌথ নদী কমিশন গঠনে ইন্দিরা গান্ধীকে রাজি করান।

“ফলে ১৯৭২ সালের ১৯শে মার্চ ইন্দিরা গান্ধীর ঢাকা সফরকালে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, পানি নিষ্কাশন ও সেচ সুবিধার উন্নয়নে দু’দেশের জনগণের পারস্পরিক সুবিধা অর্জনের জন্য এবং সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় পাওয়ার গ্রিড স্থাপনের সম্ভাবতা যাচাইয়ের জন্য যৌথ ইশতেহার (১৪-ক) ঘোষণার মাধ্যমে যৌথ নদী কমিশন গঠিত হয়।“

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “১৯৭৪ সালেই জাতির পিতা সমুদ্রসীমা আইন প্রণয়ন করেন। তখনও জাতিসংঘ সেই আইন করেনি। তারা করেছিল ১৯৮২ সালে। বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশের সমুদ্রসীমা নির্ধারণ বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক পর্যায়ে (জ্যামাইকার কিংস্টনে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ সম্মেলনে) আলোচনা শুরু করেন। দুর্ভাগ্যের বিষয় ’৭৫ এর পর যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা সমুদ্রসীমায় বাংলাদেশের অধিকার নিয়ে আর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।”

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ