বুধবার, ২৭ আগস্ট ২০২৫ ।। ১১ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
মৃত ব্যবসায়ীর কবরে গিয়ে ক্ষমা চাইল জাপানি পুলিশ ও কৌঁসুলিরা গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা দিতে চাওয়ায় ৫ ডাক্তারকে বদলি করা হয়েছিল  গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে ইসরাইলে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ কোনো অদৃশ্য শক্তি সরকারকে প্রভাবিত করছে : পীর সাহেব চরমোনাই গুলশানে কবি আল মাহমুদ পাঠাগার উদ্বোধন চাঁদাবাজি নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের প্রধান বাধা: ইসলামী আন্দোলন ডাকসু নির্বাচনের প্রচারণার প্রথম দিনেই হিজাব পরিহিত নারী প্রার্থীদের প্রতি আক্রোশ বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের পদ ৩ মাসের জন্য স্থগিত বিএনপির শোকজের দীর্ঘ জবাব দিলেন ফজলুর রহমান জুলাই শহীদ পরিবারে সরকারি অনুদান বণ্টনে নতুন বিধিমালা জারি

‘৪র্থ ধাপের নির্বাচনকে কলঙ্কের আরেকটি অধ্যায় বানাবেন না’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, আগামীকাল ইউনিয়ন পরিষদের ৪র্থ ধাপের নির্বাচন হতে যাচ্ছে। বিগত বছরগুলোর নির্বাচনী অভিজ্ঞতা জনমতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে আগামীকাল কি নির্বাচন হবে না কি আরেকটি খুনোখুনির উৎসব হবে?

আজ শনিবার বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মজিলসে আমেলার এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা খলিলুর রহমান, উপাধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম, জিএম রুহুল আমিন, হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান, শেখ ফজলুল করীম মারূফ, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, আলহাজ্ব হারুনুর রশিদ, মুফতি হেমায়েতুল্লাহ, মুফতি দিলাওয়ার হোসাইন সাকী, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, এডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার. মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম প্রমুখ।

সভায় দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ইউনিয়ন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, নির্বাচন হলো শাসন ক্ষমতায় জনতার মতামত প্রতিফলনের একটি পদ্ধতি, কিন্তু বাংলাদেশে নির্বাচন হয়ে উঠেছে সামাজিক হানাহানির কুৎসিৎ উৎসবে যার প্রধানতম দায় সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীদের হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে বাড়ী-ঘর জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। চাটখিল উপজেলার পালপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওলানা মেজবাহ উদ্দিনের স্বাক্ষর জালিয়াতী করে আওয়ামী লীগের এক নেতা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নির্বাচনকে কলঙ্কিত করেছে। নীলফামারী জেলা সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যাস প্রাথী জাহাঙ্গীল আলমের বাড়ী-ঘর পেট্টোল দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। এতে গরু-বাছুর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ভোলা জেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর উপর হামলা করে প্রার্থীর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। এগুলোর কোন প্রতিকার নেই।

নেতৃবৃন্দ হুশিয়ারি দিয়ে বলেন,জনতার ধৈয্যের বাঁধ ভেঙ্গে যাচ্ছে। এভাবে যদি চলতে থাকে এবং আগামীকালের নির্বাচনেও সন্ত্রাস ও দস্যুতা করা হয়, তাহলে পরিণতি কারো জন্য ভাল হবে না।

নেতৃবৃন্দ ইসি’র প্রতির আহ্বান জানিয়ে বলেন, পাপের বোঝা আর বৃদ্ধি করবেন না। শেষকালে ভালো কিছু করে যান, অন্তত একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করে দেখিয়ে দিন।

এনটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ