মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৫ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
আবারও ‍খুলে দেওয়া হচ্ছে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত স্বাধীন দেশে থেকেও আমরা ছিলাম পরাধীন: ফয়জুল করীম নোয়াখালীতে কোরআন তালিমে হামলার প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিল ইসরায়েলকে কঠিন পরিণতির হুঁশিয়ারি ইয়েমেনের  সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মানী/ভাতা পুনঃনির্ধারণ: অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন এবার এক টাকা কেজি গরুর গোশত বিক্রির ঘোষণা এমপি প্রার্থীর! ‘দায়সারা গোছের তামাশার নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না’ নভেম্বরের মধ্যে গণভোট আয়োজন করার উদ্যোগ নিন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল শায়খ আহমাদুল্লাহর আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন সমাজে নৈতিক অবক্ষয় ও তরুণ প্রজন্মের দিকভ্রান্তি

প্রাচীন মিশর সম্পর্কে একটি ইতিহাস: পরিবর্তনকারী উদ্ঘাটন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

নাসিম ইমরান।।

প্রাচীন মিশরে মৃতদেহ সংরক্ষণ করার রেওয়াজ ছিল। এটি প্রচলিত ধারণারও অনেক আগেই শুরু হয়েছিল। যা নতুন প্রমাণে সামনে এসেছে।

২০১৯ সালে একটি প্রাচীন মমি আবিষ্কৃত হয়। প্রকৃতপক্ষে মমিটি সবচেয়ে প্রাচীন মমিগুলোর মধ্যে একটি। মমিটি প্রাচীন মিশরীয় রাজতন্ত্রের সময়কালের বলে অনুমান করা হয়। যা প্রমাণ করে প্রায় ৪,০০০ বছর আগেও মৃতদেহ সংরক্ষণের উন্নত কৌশল ছিল। অথচ ধারণা করা হয় মৃতদেহ সংরক্ষণের প্রক্রিয়া এবং এর জন্য ব্যবহৃত উপকরণগুলি মিশরীয়রা ৩,০০০ বছর আগে ব্যবহার শুরু করেছিল।

কায়রোর আমেরিকান ইউনিভার্সিটির মিশরী পুরাতত্ত্ব বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সালিমা ইকরাম বলেন, "মমিটি যদি সত্যিই প্রাচীন মিশরীয় রাজতন্ত্রের সময়কালের হয়ে থাকে, তাহলে মৃতদেহ সংরক্ষণ এবং প্রাচীন মিশর সম্পর্কিত বইগুলো পর্যালোচনা করতে হবে।"

তিনি আরও বলেন, "এটি সম্পূর্ণরূপে আমাদের বোধগম্যতার বাইরে। প্রাচীন মিশরীয় রাজ্যে ব্যবহৃত উপকরণ, উৎস এবং বাণিজ্য রুট সম্পর্কে আমাদের জ্ঞানের উপর এটি একটি নাটকীয় প্রভাব ফেলবে। "

তিনি বলেন, "এখন পর্যন্ত আমরা ভেবেছিলাম, মৃতদেহ সংরক্ষণের প্রক্রিয়াটি অনুন্নত ছিল এবং সবসময় সফল হতো না। মৃতদেহের অঙ্গগুলি সরানো হতো না এবং মূল ফোকাস ভিতরের পরিবর্তে বাইরের অংশের দিকে ছিল। কিন্তু এখন যে প্রমাণ আবিষ্কৃত হয়েছে তা বিস্ময়কর। প্রকৃতপক্ষে এ মমিতে মৃতদেহ সংরক্ষণের যে প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয়েছে তার ব্যবহার এ মমির হাজার বছর পরে থেকে দেখা যায়।"

সাক্কারার একটি ঐতিহ্যবাহী সমাধিস্থল থেকে মমিটি আবিষ্কৃত হয়েছে। এবং আবিষ্কারের পর থেকেই এটি পর্যবেক্ষণে রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মৃতদেহটি রাজবংশের সম্ভ্রান্ত পরিবারের কোনো সদস্যের।

জানা যায় যে, আগামি ৭ নভেম্বর থেকে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের একটি নতুন সিরিজে এ বিষয়টি বিস্তারিত প্রকাশ করা হবে।

শিক্ষার্থী: মাহাদুল ফিকরি ওয়াদদিরাসাতিল ইসলামিয়া ঢাকা।

এনটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ