বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫ ।। ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
জামায়াত আমিরের সঙ্গে ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ বাংলাদেশ সফর শেষে পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন মাওলানা ফজলুর রহমান ৫ দফা বাস্তবায়নে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে, ৩০ নভেম্বর থেকে বিভাগীয় কর্মসূচি: আটদল  ডিসিদের বাদ দিয়ে ইসি থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের দাবি বিএনপির পাক-আফগান নিজেদের সমস্যা সমাধান করুক, ভারত তা চায় না: খাজা আসিফ হজযাত্রীদের জন্য বিশ্বের প্রথম ‘কুলিং ইহরাম’ আনলো সৌদি আরব ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ বিশ্ব শিশু দিবস: শীতকালে শিশুদের স্বাস্থ্য রক্ষা ও সুস্থতা নিশ্চিত করার উপায় গণভোট নিয়ে অধ্যাদেশ জারির পর করণীয় বিষয়ে পদক্ষেপ : সিইসি নোয়াখালীতে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ 

তাকবিরে তাশরিকের সূচনা যেভাবে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুহাম্মদ মাহবুবুল হক

তাকবিরে তাশরিক। শ্রুতিমধুর শব্দের সমাহার। আল্লাহর বড়ত্ব ও প্রশংসা সমৃদ্ধ বাক্যের গাঁথুনি। জিবরিল আলাইহিস সালাম, ইবরাহিম আলাইহিস সালাম ও ইসমাঈল আলাইহিস সালামের পবিত্র মুখ নিঃসৃত আল্লাহ তাআলার শানে যৌথ উচ্চারিত শ্রেষ্ঠত্ব ও প্রশাংসায় মুখর অত্যন্ত সুন্দর ও চমৎকার বাক্যমালার নাম ‘তাকবিরে তাশরিক’।

আল্লাহর নির্দেশ পালনে ইবরাহিম আলাইহিস সালাম যখন প্রাণাধিক প্রিয় সন্তান ইসমাঈল আলাইহিস সালামকে জবাই করে কুরবানি করতে উদ্যত হলেন, তখন আল্লাহ পাক জিবরিল আলাইহি সালামকে ইসমাঈলের স্থলে জান্নাত থেকে দুম্বা দিয়ে পাঠালেন। জিবরিল আলাইহিস সালাম আশংকাবোধ করলেন, যে তিনি পৌঁছার আগেই যদি ইব্রাহিম তাঁর পুত্র ইসমাঈলকে কুরবানি করে দেন-এজন্য আকাশ থেকেই উচ্চ আওয়াজে ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার’ বলে সংকেত দিলেন। আওয়াজ শুনে ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম আকাশপানে তাকিয়ে দেখলেন, এটা জিবরিল আইলাইহিস সালামের শুভাগমনের ধ্বনি। তিনি আল্লাহর বার্তা নিয়ে এসেছেন।

তখন ইব্রাহিম আলাইহিস সালামও আল্লাহর একত্ববাদের ঘোষণা ও বড়ত্ব প্রকাশ করেন, ‘লাইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আল্লাহু আকবার’ বলে। ইসমাঈল আলাইহিস সালামও আল্লাহর মহত্ব ও প্রশংসায় বিভোর হয়ে পাঠ করেন, ‘আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ’। ইসলামি ইতিহাসের চিরস্মরণীয় এ ঘটনার সূত্র ধরেই তাকবিরে তাশরিকের সূচনা হয়।

সেই থেকে আল্লাহ তাআলার অন্যতম ফেরেশতা জিবরিল আলাইহিস সালাম ও দু’জন নবীর এই কথাগুলো নির্দিষ্ট সময়ে পাঠ করা উম্মাতে মুহাম্মদীর জন্য বিধিবদ্ধ করা হয়।

আরবি জিলহজ মাসের ৯ তারিখ ফজর থেকে ১৩ জিলহজ আসরের নামাজ পর্যন্ত মোট ২৩ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পর ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লাইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ’। আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব, একত্ববাদের স্বীকৃতি ও প্রশংসাসূচক এই বাক্যই তাকবিরে তাশরিক। পুরুষরা উচ্চশব্দে ও নারীরা অনুচ্চস্বরে পড়া ওয়াজিব। জামাতে বা একাকী নামাজ পড়লে একই বিধান। মুকিম বা মুসাফিরও এ বিধান পালনের ক্ষেত্রে সমান।

লেখক: কলামিস্ট, প্রাবন্ধিক।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ