মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১৯ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
চট্টগ্রামে সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদের মতবিনিময় সভা জুলাই আন্দোলনের অগ্রসেনানী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে মামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ খুলনায় হাতপাখার সংসদ সদস্য প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির জরুরি বৈঠক সার্বিক উন্নয়ন ও ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে চাই: হাফিজ ফখরুল ইসলাম ফরিদপুরে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীর প্রচারণার গেট ও ব্যানার ভাঙচুর  জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য নভেম্বরেই গণভোট দিতে হবে: এ টি এম মাছুম জামায়াত আমিরের আসনে বিএনপির প্রার্থী হলেন যিনি খালেদা জিয়াসহ ৯ নারী পেলেন বিএনপির মনোনয়ন ২৩৭ আসনে বিএনপির ধানের শীষ পেলেন যারা নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে মামলায় মতিউর রহমান আকন্দ নিন্দা

আফগানিস্তানে রাতের অন্ধকারে গোপনে পালাচ্ছেন মার্কিন সেনারা!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যরা আফগানিস্তানের বাগরামে তাদের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক বিমানঘাঁটি ছেড়ে চলে গেছে। রাতের আঁধারে আফগান কর্তৃপক্ষকে কিছু না জানিয়েই তারা চলে গেছেন বলে জানিয়েছেন ওই ঘাঁটির নতুন কমান্ডার জেনারেল আসাদুল্লাহ কোহিস্তানি।

আজ মঙ্গলবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বাগরামের নতুন কমান্ডার বিবিসিকে বলেছেন, আমেরিকানরা গত শুক্রবার ভোররাত ৩টার দিকে সেখান থেকে চলে যায়।

আফগান সামরিক বাহিনী এর কয়েক ঘণ্টা পর তা জানতে পারে। বাগরাম বিমানঘাঁটিতে একটা কারাগারও আছে। সেই কারাগারে এখনো পাঁচ হাজারের মতো তালেবান সদস্য বন্দী রয়েছে বলেও বিবিসির খবরে বলা হয়েছে। এদিকে, মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের সঙ্গে সঙ্গে আফগানিস্তানের বিভিন্ন এলাকার নিয়ন্ত্রণ দ্রুততার সাথে গ্রহণ করছে তালেবান।

এ বিষয়ে জেনারেল কোহিস্তানি গতকাল সোমবার বলেন, আফগান সরকারি বাহিনী ধারণা করছে, তালেবান বাগরাম বিমানঘাঁটি দখলের জন্য হামলা চালাবে। বিমানঘাঁটিতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বিমানঘাঁটির নিকটবর্তী ‘গ্রাম এলাকায় তালেবানের তৎপরতার’ কিছু খবর তারা ইতোমধ্যেই পেয়েছেন।

গত শুক্রবার আমেরিকা ঘোষণা করে, পূর্ব-ঘোষিত চূড়ান্ত সময়সীমার আগেই তারা বাগরাম খালি করে চলে গেছে। এ বছরের গোড়ার দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা করেছিলেন, আমেরিকা আফগানিস্তানে তার সামরিক মিশন শেষ করে ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব সৈন্য প্রত্যাহার করে নেবে।

উল্লেখ্য, বাগরাম বিমানঘাঁটির হাতবদল আগেও হয়েছে। ’৫০-এর দশকে আমেরিকানরা আফগানিস্তানকে সুরক্ষা দিতে এই বিমানঘাঁটি প্রথমে তৈরি করে। এরপর ১৯৭৯ সালে রাশিয়ার রেড আর্মি আফগানিস্তানে আক্রমণ চালানোর পর এই বিমানঘাঁটির দখল নেয় সোভিয়েত ইউনিয়ন। পরে এই বিমানঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ ছিল মস্কো সমর্থিত আফগান সরকারের হাতে।

এরপর এটির দখল নেয় একটি মুজাহেদিন প্রশাসন এবং ’৯০-এর দশকের মাঝামাঝি তালেবান ক্ষমতায় এলে বিমানঘাঁটিটি তাদের নিয়ন্ত্রণে আসে। আমেরিকা ২০০১ সালে আফগানিস্তানের দখল নিয়ে তালেবানকে ক্ষমতাচ্যুত করে এবং গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। এটিকে তারা বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে থাকা এক বিশাল সেনা ঘাঁটিতে রূপান্তর করে। এখান থেকেই মার্কিন বাহিনী গত বিশ বছর ধরে তালেবানের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ