মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১৯ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
জুলাই আন্দোলনের অগ্রসেনানী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে মামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ খুলনায় হাতপাখার সংসদ সদস্য প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির জরুরি বৈঠক সার্বিক উন্নয়ন ও ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে চাই: হাফিজ ফখরুল ইসলাম ফরিদপুরে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীর প্রচারণার গেট ও ব্যানার ভাঙচুর  জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য নভেম্বরেই গণভোট দিতে হবে: এ টি এম মাছুম জামায়াত আমিরের আসনে বিএনপির প্রার্থী হলেন যিনি খালেদা জিয়াসহ ৯ নারী পেলেন বিএনপির মনোনয়ন ২৩৭ আসনে বিএনপির ধানের শীষ পেলেন যারা নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে মামলায় মতিউর রহমান আকন্দ নিন্দা বস্ত্রহীন ঘুমানোর হুকুম কী ?

যে লক্ষণে বুঝবেন কিডনিতে পাথর হয়েছে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কিডনি রোগে আমরা যদি কিছু নিয়মকানুন মেনে চলি, তাহলে আমরা দীর্ঘদিন ভালো থাকতে পারি। প্রথমত আমাদের প্রাথমিক পর্যায়ে রোগটা নির্ণয় করতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শে নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। আজ আমরা জানব, কিডনিতে পাথর হলে কী কী উপসর্গ দেখা দেয়।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন ডা. মাহফুজুর রহমান।

ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, কিডনির ভেতরে যে জায়গাতে পাথর থাকে, এটার ক্যাপাসিটি ৮ থেকে ১০ গ্রাম। খুব বেশি কিন্তু নয়। অনেক সময় দেখা গেছে, গাছের ডাল বা শাখা-প্রশাখার মতো পাথর হয়। এটাকে আমরা স্ট্যাগ হর্ন ক্যালকুলাস বলি (হরিণের শিংয়ের মতো)। একজন সাধারণ মানুষ পরীক্ষা করার পরে দেখেন, এত বড় পাথর, উনি বুঝতেই পারলেন না। প্রবলেমটা হচ্ছে, পেশেন্ট বুঝতে পারেন না দেখেই পাথরটা এত বড় হচ্ছে। যদি বুঝতে পারতেন, বুঝতে পারা মানে ব্যথা করা। পাথর হলে সাধারণত সিম্পটম যেটা হয়, পেশেন্টের ব্যথা করে। কিডনিতে ব্যথা হয়। নালীতে ব্যথা হয়। নালীটা তো অনেক চিকন। অনেক ছোট পাথর যদি নালীতে আসে, তাহলে দেখা যায় এটা নালীকে বন্ধ করে দেয়। যখন এটা বন্ধ করে দেয়, তখন আমাদের শরীরে নিজস্ব ম্যাকানিজমে এই পাথরটাকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে। ফলে নালীটাকে কাজ করতে হয় বেশি এবং তখন পেইন হয়। তীব্র ব্যথা হয়, এত ব্যথা যে পেশেন্টকে হাসপাতালে যেতে হয়। আর যেহেতু পাথর কিডনিতে থাকাকালে অনেক বড় হয়ে গেছে, কারণ, এটা কোনো জায়গার সাথে আটকে রাখেনি। অবস্ট্রাকশন করেনি। এর কারণে পাথরগুলো অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে। যদি অবস্ট্রাকশন করত, তাহলে ৫ থেকে ৬ মিলিমিটারের পাথরও সিম্পটম তৈরি করতে পারে। যদি কোনো অবস্ট্রাকশন না করে, তাহলে ৩ সেন্টিমিটার, ৪ সেন্টিমিটার পাথরও হয় পেশেন্টের কোনো কমপ্লেইন ছাড়াই।

ব্যথা ছাড়া কি আর কোনো উপসর্গ রয়েছে? এ প্রশ্নের জবাবে ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, এই যে বড় পাথরের কথা বললাম, সাধারণত প্রস্রাবের সাথে রক্ত বের হয়। ব্যথা থাকে না, কিন্তু প্রস্রাবের সাথে রক্ত বের হয়। পাথর তো, ঘষা খেতে থাকে। ঘষা খেতে থাকলে ওখান থেকে রক্ত বের হয় এবং প্রস্রাবের সাথে বের হয়ে আসে। দুই নম্বর হচ্ছে, পাথর থাকার কারণে বার বার ইনফেকশন হতে থাকে। রিপিটেড ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন বা প্রস্রাবে ইনফেকশন হয় বার বার। ইনফেকশন তো একটি লক্ষণ  মাত্র। রোগী এলে আমরা খোঁজার চেষ্টা করি, এটা কি শুধুই ইনফেকশন, না কি অন্য কোনো কারণে হচ্ছে। পাথর একটি অন্যতম কারণ, বার বার ইনফেকশন তৈরি করে। অনেক রোগী আমাদের কাছে আসেন, বলেন, ডাক্তার সাহেব, আমার তো প্রস্রাবের সঙ্গে পাথর বের হচ্ছে। বোতলে ভরে পাথরও নিয়ে আসেন অনেক রোগী।

এনটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ