ফরহাদ খান নাঈম।।
গত মার্চের পর থেকে এবারই প্রথম দর্শনার্থীদের জন্য দেশের সীমানা উন্মুক্ত করে দিলো উজবেকিস্তান। ছুটি কাটাতে ভ্রমণকালীন যদি কোনো দর্শনার্থী করোনা আক্রান্ত হন তাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে দেশটির সরকার।
মধ্য এশিয়া থেকে আগত কোনো দর্শনার্থী কভিড-১৯ আক্রান্ত হলে, যেকোনো উজবেক হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আক্রান্ত দর্শনার্থীকে ৩০০০ হাজার ইউএস ডলার দেওয়া হবে।
উজবেকিস্তানের ভ্রমণবিষয়ক রাষ্ট্রদূত সোফি ইবোট্সন বলেন, আমরা উজবেকিস্তানে আগত দর্শনার্থীদের আশ্বস্ত করতে চাই।
তিনি আরো বলেন, আমাদের আত্মবিশ্বাস রয়েছে যে, যদি সরকারের পক্ষ থেকে বেঁধে দেওয়া নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হয়, তাহলে নতুন করে কারো করোনা আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা নেই। এরপরও যদি কেউ করোনা আক্রান্ত হন, তাহলে আক্রান্ত দর্শনার্থীকে সরকার চিকিৎসার জন্য যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে প্রস্তুত।
তবে এই অফারটি শুধুমাত্র ঐ সমস্ত দর্শনার্থীদের জন্য প্রযোজ্য যারা উজবেকিস্তানের কোনো স্থানীয় ট্যুরিস্ট গাইডের তত্ত্বাবধানে ভ্রমণ করবেন।
উল্লেখ্য, এরই মধ্যে উজবেকিস্তান করোনার কঠিন পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে। এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭১৭৭ ও মৃতের সংখ্যা মাত্র ২০ জন যেখানে এর মোট জনসংখ্যা হলো ৩৩ মিলিয়ন।
চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইসরাইল থেকে আগত দর্শনার্থীদের জন্য উজবেকিস্তান এটির সীমান্ত পরিপূর্ণভাবে খুলে দিয়েছে। যুক্তরাজ্য থেকে আগত দর্শনার্থীদেরও দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি রয়েছে; তবে প্রবেশের ও ব্রিটেনে প্রত্যাগমনের পর দর্শনার্থীদেরকে অবশ্যই ১৪ দিন করে আইসোলেশনে থাকতে হবে।
আগত দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উজবেকিস্তানের সকল ট্যুরিজম কোম্পানিকে করোনা প্রতিরোধের জাতীয় প্রকল্পে সাক্ষর করতে বলা হয়েছে।
যদি কোনো ট্যুরিজম কোম্পানি করোনা প্রতিরোধের জাতীয় প্রকল্পে সাক্ষর না করে এবং প্রকল্পের পরিচ্ছন্নতা আইন মেনে না চলে আর এতে করে যদি কোনো দর্শনার্থী করোনা আক্রান্ত হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ট্যুরিজম কোম্পানিকে আক্রান্ত দর্শনার্থীর চিকিৎসা ব্যয়ভার বহন করতে হবে।
এদিকে দীর্ঘদিন লকডাউন থাকার পর বিশ্বের অন্যান্য দেশও দর্শনার্থীদের জন্য এরকম নিশ্চয়তা ও আশ্বাস দিচ্ছে।
সাইপ্রাসের সরকার দেশটিতে আগত দর্শনার্থীদের কেউ করোনা আক্রান্ত হলে, আক্রান্ত দর্শনার্থীর ছুটির দিনের সকল ব্যয়ভার বহন করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।
তবে এক্ষেত্রে কম্বোডিয়া সম্পূর্ণ বিপরীত পন্থা অবলম্বন করেছে। দেশটিতে প্রবেশকারী সকলকে "কভিড - ১৯ ডিপোজিট" হিসেবে ৩০০০ হাজার ইউএস ডলার করে কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে। দ্য টেলিগ্রাফ থেকে ফরহাদ খান নাঈমের অনুবাদ।
-এটি
 
                              
                           
                              
                           
                         
                              
                           
                        
                                                 
                      
                                                  
                                               
                                                  
                                               
                                      
                                         
                                      
                                         
                                      
                                        