রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫ ।। ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৪ মহর্‌রম ১৪৪৭


রোজা ভেঙ্গে যায় যেসব কারণে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাহদী হাসানাত খান।।।

সমগ্র মুসলিমজাতি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস অতিবাহিত করছে। সেটি হলো, পবিত্র রমজান মাস। বছরে পুরো এগারো মাস নিজের মতো যাপন করলেও, রমজানের এই মাস যাপন করতে হয় একমাত্র মহান আল্লাহর বিধিনিষেধ মেনে। এতে বিন্দুমাত্র ছাড় নেই। মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমাদের জন্য রোজা ফরজ করে দেওয়া হলো, যেমন ফরজ করে দেওয়া হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যাতে তোমরা তাকওয়ার অধিকারী হতে পারো। [সুরা বাকারা : ১৮৩]’

অন্যত্র বলেন, ‘সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তিই এ মাস পাবে, সে যেন অবশ্যই রোজা রাখে। [সুরা বাকারা : ১৮৫]’ হাদিস শরিফে এসেছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘যখন তোমরা (রমজানের) চাঁদ দেখবে, তখন থেকে রোজা রাখবে। আর যখন (শাওয়ালের) চাঁদ দেখবে, তখন থেকে রোজা বন্ধ করবে। আকাশ যদি মেঘাচ্ছন্ন থাকে, তবে ত্রিশ দিন রোজা রাখবে। [সহিহ বুখারি : ১৯০৯; সহিহ মুসলিম : ১০৮০ ‘১৭-১৮]’

অতএব বুঝা গেল, রমজান মাসে রোজা রাখা ফরজ। ইসলামের আবশ্যক বিধান হিসেবে রোজা পালন করা ও বিশ্বাস করাও ফরজ। তা ছাড়া শরয়ি কোনো ওজর ব্যতীত কোনো মুসলমান যদি রমজান মাসের একটি রোজাও ইচ্ছাকৃতভাবে পরিত্যাগ করে, তাহলে সে বড় পাপী ও জঘন্য অপরাধী হিসেবে গণ্য হবে। ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ত্যাগ ও ভঙ্গকারীর জন্য কঠিন শাস্তির কথা বর্ণিত হয়েছে। হজরত উমামা (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘আমি ঘুমিয়েছিলাম। স্বপ্নে দেখলাম, আমার কাছে দুজন ব্যক্তি এলো। তারা আমার বাহুদ্বয় ধরে এক দুর্গম পাহাড়ে নিয়ে এলো। তারপর আমাকে বলল, আপনি পাহাড়ের উপর উঠুন।

আমি বললাম, আমি তো উঠতে পারব না। তারা বলল, আপনাকে সহজ করে দেব। আমি উপরে ওঠলাম। যখন পাহাড়ের সমতলে পৌঁছলাম, হঠাৎ ভয়ঙ্কর আওয়াজ শুনতে পেলাম। জিজ্ঞেস করলাম, এ সব কীসের আওয়াজ? তারা বলল, এ সব জাহান্নামীদের আর্তনাদ। তারপর তারা আমাকে নিয়ে এগিয়ে চলল। হঠাৎ কিছু লোক দেখতে পেলাম, যাদেরকে তাদের পায়ের মাংসপেশি দ্বারা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে এবং তা থেকে রক্ত ঝরছে। জিজ্ঞেস করলাম, এরা কারা? তারা বলল, যারা ইফতারের সময় হওয়ার আগেই রোজা ভেঙে ফেলে। [সহিহ ইবনে খুজাইমা : ১৯৮৬, সহিহ ইবনে হিব্বান : ৭৪৪৮, সুনানে নাসায়ি কুবরা : ৩২৮৬, মুসতাদরাকে হাকিম : ১৬০৯]’

রমজান মাসে একদিন রোজা ভাঙলে শুধু গুনাহগারই হয় না; ওই রোজার পরিবর্তে আজীবন রোজা রাখলেও রমজান মাসের এক রোজার রহমত, বরকত, মাগফেরাত কখনোই লাভ করতে পারবে না৷ এর যথার্থ ক্ষতিপূরণ কোনোভাবেই আদায় হবে না। বর্ণিত হয়েছে, হজরত আলি (রা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে রমজান মাসের একটি রোজা ভাঙবে, সে আজীবন ওই রোজার (ক্ষতিপূরণ) আদায় করতে পারবে না। [মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা : ৯৮৭৮]’ তাই খুব সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।

মহান আল্লাহ পরিপূর্ণ হেকমত অনুযায়ী রোজার বিধান ফরজ করেছেন। তিনি রোজাদারের ভারসাম্য রক্ষা করে রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। একদিকে যাতে রোজা রাখার কারণে রোজাদারের শারীরিক কোনো ক্ষতি না-হয়, অন্যদিকে সে যেন রোজা বিনষ্টকারী কোনো বিষয়ে লিপ্ত না-হয়। মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে রোজা ভঙ্গকারী বিষয়গুলোর মূলনীতি উল্লেখ করেছেন, ‘এখন তোমরা নিজ স্ত্রীদের সাথে সহবাস করো এবং মহান আল্লাহ তোমাদের জন্য যা কিছু লিখে রেখেছেন তা (সন্তান) তালাশ করো। আর পানাহার করো যতক্ষণ না কালো সুতা থেকে ভোরের শুভ্র সুতা পরিষ্কার ফুটে ওঠে। [সুরা বাকারা: ১৮৭]’ এ আয়াতে মহান আল্লাহ রোজা ভঙ্গকারী প্রধান বিষয়গুলো উল্লেখ করেছেন। সেগুলো হচ্ছে, পানাহার ও সহবাস। আর রোজা ভঙ্গকারী অন্য বিষয়গুলো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিসে উল্লেখ করেছেন।

রোজা ভঙ্গকারী বিষয়গুলো দুই প্রকার:
এক. যে বিষয়গুলোর কারণে কাজা ও কাফফারা উভয়টি জরুরি যেমন, সহবাস—এটি সবচেয়ে বড় রোজা ভঙ্গকারী বিষয়। এতে লিপ্ত হলে সবচেয়ে বেশি গুনাহ হয়। যে ব্যক্তি রমজানে দিনের বেলা স্বেচ্ছায় স্ত্রী সহবাস করবে; এতে করে বীর্যপাত হোক কিংবা না-হোক, তার ওপর তওবা করা, কাজা ও কাফফারা করা উভয়টি জরুরি। একটি দীর্ঘ হাদীসে আছে, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বলল, আমি রোজা অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করেছি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে কাফফারা আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন। [সহিহ বুখারি : ৬৭০৯, জামে তিরমিজি : ৭২৪, মুসনাদে আহমদ : ২/২৪১]’

অন্য বিষয়টি হচ্ছে, ইচ্ছাকৃতভাবে পানাহার। হাদিস শরিফে আছে, এক ব্যক্তি রমজানে রোজা রেখে (ইচ্ছাকৃতভাবে) পানাহার করল। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে আদেশ করলেন, যেন একটি দাস আজাদ করে বা দুই মাস রোজা রাখে বা ষাটজন অভাবীদের খাবার খাওয়ায়। [সুনানে দারাকুতনি : ২/১৯১]’

উল্লিখিত দুটি বিষয় ছাড়া অন্য পদ্ধতিতে রোজা ভাঙলে কাফফারা দিতে হয় না। তবে কাজা অর্থাৎ এক রোজার পরিবর্তে এক রোজা আদায় করতে হয়। [মাবসুত সারাখসি ৩/৭২]

দুই. যে বিষয়গুলোর কারণে শুধু কাজা করতে হয়। সেগুলো হলো,

ক. যা কিছু পানাহারের স্থলাভিষিক্ত। এটি দুইটি বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে। ১. যদি রোজাদারের শরীরে রক্ত পুশ করা হয়। যেমন, আহত হয়ে রক্তক্ষরণের কারণে কারও শরীরে যদি রক্ত পুশ করা হয়; তাহলে সে ব্যক্তির রোজা ভেঙে যাবে। কেননা পানাহারের উদ্দেশ্য হচ্ছে, রক্ত তৈরি। ২. খাদ্যের বিকল্প হিসেবে ইনজেকশন পুশ করা। কারণ এমন ইনজেকশন নিলে, পানাহারের প্রয়োজন হয় না। তবে যেসব ইনজেকশন পানাহারের স্থলাভিষিক্ত নয়; বরং চিকিৎসার জন্য দেওয়া হয় উদাহরণত, ইনসুলিন, পেনেসিলিন কিংবা শরীর চাঙা করার জন্য কিংবা টীকা হিসেবে দেওয়া হয়—এগুলো রোজা ভঙ্গ করবে না। চাই এসব ইনজেকশন মাংশপেশীতে দেওয়া হোক কিংবা শিরাতে দেওয়া হোক। তবে সাবধানতা স্বরূপ এসব ইনজেকশন রাতে নেওয়া যেতে পারে।

খ. শ্বাসকষ্ট দূর করার জন্য মুখের ভেতরে ইনহেলার স্প্রে করা হয়। এতে যে জায়গায় শ্বাসরুদ্ধ হয়, সে জায়গাটি প্রশস্ত হয়ে যায়। ফলে শ্বাস চলাচলে আর কষ্ট থাকে না। ওষুধটি যদিও স্প্রে করার সময় গ্যাসের মতো দেখা যায়, কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে তা দেহবিশিষ্ট তরল ওষুধ। অতএব মুখের অভ্যন্তরে ইনহেলার স্প্রে করার দ্বারা রোজা ভেঙে যাবে। সংশ্লিষ্ট ডাক্তারের সচিত্র ব্যাখ্যা থেকে এ কথা সুস্পষ্টভাবে বোঝা গেছে, গ্যাস/ইনহেলার স্প্রে করার পর এর কিছু অংশ খাদ্যনালীতেও প্রবেশ করে। সুতরাং এটি ব্যবহারের কারণে রোজা নষ্ট হয়ে যাবে। তাই সাহরির শেষ সময় এবং ইফতারের প্রথম সময় গ্যাস/ইনহেলার ব্যবহার করলে যদি তেমন অসুবিধা না-হয় তবে রোজা অবস্থায় গ্যাস/ইনহেলার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা জরুরি। কিন্তু অসুস্থতা বেশি হওয়ার কারণে যদি দিনেও ব্যবহার করা জরুরি হয় তাহলে তখন ব্যবহার করতে পারবে। তবে সেক্ষেত্রে করণীয় হলো,
১. উক্ত ওজরে দিনের বেলা গ্যাস/ইনহেলার ব্যবহার করলেও অন্যান্য পানাহার থেকে বিরত থাকবে।
২. পরবর্তীতে রোগ ভালো হলে এর কাজা করে নেবে।
৩. আর ওজর যদি আজীবন থাকে তাহলে ফিদয়া আদায় করবে। [সুরা বাকারা : ১৮৪, মাজমাউল আনহুর ১/৩৬৬, রদ্দুল মুহতার ২/৩৯৫; মাজাল্লা মাজমাউল ফিকহিল ইসলামি সংখ্যা : ১০, ২/৩১-৬৫]

গ. অজু বা গোসলের সময় রোজার কথা স্মরণ থাকা অবস্থায় অনিচ্ছাকৃতভাবে গলার ভেতর পানি চলে গেলে রোজা ভেঙে যাবে। সুফিয়ান সাওরি (রহ.) বলেন, ‘রোজা অবস্থায় কুলি করতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে গলার ভেতর পানি চলে গেলে রোজা ভেঙে যাবে এবং তা কাজা করতে হবে। [মুসান্নাফে আবদুর রাজজাক : ৭৩৮০]

ঘ. যা সাধারণত আহারযোগ্য নয় বা কোনো উপকারে আসে না, তা খেলেও রোজা ভেঙ্গে যাবে। আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রা.) ও ইকরিমা (রহ.) বলেন, ‘(পেটে) কোনো কিছু প্রবেশ করলে রোজা ভেঙে যায়। কোনো কিছু বের হওয়ার দ্বারা রোজা ভাঙে না। [সহিহ বুখারি : ১/২৬০]

ঙ. দাঁত থেকে রক্ত বের হয়ে যদি তা থুতুর সাথে ভেতরে চলে যায়, তবে রক্তের পরিমাণ থুতুর সমান বা বেশি হলে, রোজা ভেঙে যাবে। [আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৩, রদ্দুল মুহতার ২/৩৯৬]

চ. মুখে বমি চলে আসার পর ইচ্ছাকৃতভাবে গিলে ফেললে রোজা ভেঙে যাবে। যদিও তা পরিমাণে অল্প হয়। [আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৪; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪১৫]

ছ. রোজা অবস্থায় হায়েজ বা নেফাস শুরু হলে রোজা ভেঙে যাবে। আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত একটি দীর্ঘ হাদিসে আছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইদুল ফিতর বা ইদুল আজহায় মহিলাদের লক্ষ্য করে বললেন, ‘মহিলারা তো ঋতুস্রাবের সময় রোজা রাখতে পারে না এবং নামাজও পড়তে পারে না। এটা তোমাদের দীনের অসম্পূর্ণতা। [সহিহ বুখারি ১/৪৪, শরহু মুখতাসারিত তহাবি ২/৪৪০; আননুতাফ ফিলফাতাওয়া ১০০]

জ. পেটের এমন ক্ষতে ওষুধ লাগালে রোজা ভেঙে যাবে, যা দিয়ে ওষুধ পেটের ভেতর চলে যায়। বিশেষ প্রয়োজনে এমন ক্ষতে ওষুধ লাগালে পরে সে রোজার কাজা করে নিতে হবে। [ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৪, রদ্দুল মুহতার ২/৪০২]

ঝ. নাকে ওষুধ বা পানি দিলে তা যদি গলার ভেতরে চলে যায়, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে।

ঞ. মলদ্বারের ভেতর ওষুধ বা পানি ইত্যাদি গেলে, রোজা ভেঙে যাবে। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘শরীর থেকে (কোনো কিছু) বের হলে অজু করতে হয়, প্রবেশ করলে নয়। পক্ষান্তরে রোজা এর উল্টো। রোজার ক্ষেত্রে (কোনো কিছু শরীরে) প্রবেশ করলে রোজা ভেঙে যায়, বের হলে নয় (তবে সেচ্ছায় বীর্যপাতের প্রসঙ্গটি ভিন্ন)। [ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৪; রদ্দুল মুহতার ২/৪০২]

ট. সুবহে সাদিকের পর সাহরির সময় আছে ভেবে পানাহার বা সহবাস করলে, রোজা ভেঙে যাবে। তেমনি ইফতারির সময় হয়ে গেছে ভেবে সূর্যাস্তের পূর্বে ইফতার করে নিলে, রোজা নষ্ট হয়ে যাবে। [আদ্দুররুল মুখতার ২/৪০৫, আলবাহরুর রায়েক ২/২৯১]

ঠ. রোজা রাখা অবস্থায় ভুলবশত পানাহার করে—রোজা নষ্ট হয়ে গেছে ভেবে ইচ্ছাকৃতভাবে পানাহার করলে, রোজা নষ্ট হয়ে যাবে।

ড. অনিচ্ছাকৃত বমি হওয়ার কারণে রোজা নষ্ট হয়ে গেছে মনে করে—রোজা ভেঙে ফেললে কাজা করতে হবে। আলি ইবনে হানজালা তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি রোজার মাসে উমর (রা.)-এর নিকট ছিলেন। তার নিকট পানীয় পেশ করা হলো। উপস্থিত লোকদের কেউ কেউ সূর্য ডুবে গেছে ভেবে তা পান করে ফেলল। এরপর মুয়াজ্জিন আওয়াজ দিল, আমিরুল মুমিনিন! সূর্য এখনো ডুবেনি। তখন উমর (রা.) বললেন, ‘যারা ইফতারি করে ফেলেছে, তারা একটি রোজা কাজা করবে। আর যারা ইফতারি করেনি, তারা সূর্যাস্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। [মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা ৬/১৫০]

ঢ. ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করলে রোজা নষ্ট হয়ে যাবে। হাদিস শরিফে এসেছে, রোজা অবস্থায় (অনিচ্ছাকৃত) বমি হলে কাজা করতে হয় না। আর ইচ্ছাকৃত বমি করলে, সে যেন তা কাজা করে নেয়। [জামে তিরমিজি : ৭২০]

মহান আল্লাহ আমাদের যথাযথ রোজা পালনের তাওফিক দান করুন, আমিন।

লেখক: আলেম, লেখক।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ