রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ১৩ পৌষ ১৪৩২ ।। ৮ রজব ১৪৪৭


পুলিশ পিছু নেয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই মিললো বিএনপির সভাপতির লাশ!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে পুলিশ পিছু নেয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতির লাশ পানের বরজে পাওয়া গেছে। তার নাম মাহতাব আলী মণ্ডল।

নিহতের স্বজনরা অভিযোগ জানায়, পুলিশ তাকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে। তবে পুলিশের দাবি, বিএনপির ওই নেতার হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে।

মাহতাব উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ছিলেন। তার বাবা মৃত সমশের মণ্ডল। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে স্থানীয় পুলিশ গ্রামের একটি পানের বরজ থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে।

স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, তাকে হত্যা করা হয়েছে। মাথায় ও গলার ডান দিকে আঘাতের চিহ্ন দেখেছেন বলেও জানায় তারা।

পুলিশ বলছে, হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন মাহতাব। এ ঘটনায় হরিণাকুণ্ড থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। দুপুর ২টার দিকে তার লাশের ময়নাতদন্ত করানো হয়েছে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে তাকে।

মাহতাবের ভাতিজা মোস্তাফিজুর রহমান নবাই অভিযোগ করে বলেন, বৃহস্পতিবার বিকালে গ্রামের নতুন বাজারে একটি চায়ের দোকানে বসা ছিলেন তার চাচা মাহতাব। সেখানে ৪ জন পুলিশ কর্মকর্তা এসে হাজির হন এবং মাহতাব কোথায় জানতে চান চায়ের দোকানদার শহিদুলের কাছে।

এ সময় চায়ের দোকান থেকে মাহতাব পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশ তার পিছু নেয়। এরপর থেকে মাহতাবের মোবাইল ফোন বন্ধ পান পরিবারের সদস্যরা। ভোর ৬টার দিকে তারা জানতে পারেন নিজ বাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে গ্রামের বেলের মাঠের একটি পান বরজে লাশ পাওয়া গেছে তার।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, তার চাচাকে হত্যা করা হয়েছে। তাহেরহুদা গ্রামের নতুন বাজারের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শহিদুলের দোকান থেকে সরে যাওয়ার সময় পুলিশ দেখে ফেলে মাহতাবকে। বেলের মাঠের দিকে দৌড়ে যান তিনি। তখন পিছু নেয় পুলিশ।

একটু পরে পুলিশ ফিরে আসে। কিন্তু মাহতাবকে দেখেননি তারা। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পালানোর সময় মাহতাব মারা গেছেন- এমন কথাও বলছেন কেউ কেউ।

পুলিশের ধাওয়া করার বিষয়টি সরাসরি অস্বীকার না করে ওসি বলেন, গ্রামবাসীরা ঘটনাটি তাকে বলেছেন। কিন্তু কেউ থানায় অভিযোগ করেনি।

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস। এ সময় প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করার দাবি তুলেন এলাকাবাসী। ঘটনার তদন্ত চলছে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ