শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫ ।। ৮ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২৯ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
‘‌কচুয়াকে দাওয়াতি কার্যক্রমের মডেল হিসেবে গড়তে চাই’ গোপালগঞ্জের যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে আহত ২০ ইসলামি লেখক ফোরাম পদক পেলেন তিন গুণীজন, পুরস্কার ৩০ জন পিআর পদ্ধতি সংবিধানে নেই, সংবিধানের বাইরে যেতে পারি না: সিইসি  ‘সাংবাদিকদের ওপর হামলা বা হত্যার বিচার হয় না, ফলে তারা এক অনিশ্চিত জীবনে বাস করে’ ইসরায়েলি হামলায় আরো ৬৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত অসিয়ত ভঙ্গ করে জানাযা পড়ালে তা শুদ্ধ হবে কি? লেখকদের পৃষ্ঠপোষকতায় পদক পেলেন মাওলানা মুহাম্মাদ সালমান ৪৮ প্রার্থীর মধ্যে ২০ জন মাদরাসাপড়ুয়া, আলোচনায় ডাকসু ভিপি নির্বাচন ছাত্র জমিয়ত গাজীপুর মহানগর শাখার কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

মিডিয়া যেভাবে ভুয়া সংবাদে এক ইমামকে বিচলিত করল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভুয়া খবরের মাঝে নিজের ছবি দেখে রীতিমতো বিস্মিত কানাডার টরন্টো শহরের এক ইমাম।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি পোস্টে লেখা হয়েছে, কয়েকদিন আগে আমেরিকার হিউস্টনে হারিকেন হার্ভের প্রভাবে সৃষ্ট বন্যার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা 'রামাশান মসজিদে' আশ্রয় নিতে গেলে সেখানকার ইমাম 'আসওয়াত টুরাডস' তাদের মসজিদের ভেতরে আশ্রয় দিতে অস্বীকৃতি জানায়।

কিন্তু সে পোস্টে যার ছবি ব্যবহার করা হয়েছে তিনি আসওয়াত টুরাডস নন। তিনি হলেন ইব্রাহিম হিন্দে। তাঁর ছবি ব্যবহার করে এবং তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে , " অবিশ্বাসীদের সাহায্য করা আমাদের জন্য নিষেধ।"
কিন্তু সে পোস্টের সাথে নিজের ছবি দেখে চমকে উঠেছেন ইব্রাহিম হিন্দে। প্রথমত; তিনি কানাডার টরন্টোর বাসিন্দা এবং কখনো হিউস্টনে যান নি।

দ্বিতীয়ত; যে সময় হারিকেন হার্ভে আঘাত হেনেছে, তখন তিনি তিনি হজ পালনের জন্য মক্কায় অবস্থান করছিলেন।

এ খবরটি আমেরিকার একটি ওয়েবসাইট গত ৩১শে আগস্টে প্রকাশিত হয়েছে, যারা নিজেদের রম্য ওয়েবসাইট বরে দাবী করে।

সেখানে বলা হয়েছে, রামাশান মসজিদে ৫০০ মানুষের আশ্রয় দেয়া সম্ভব হতো।

কিন্তু ইমামের নির্দেশে তাদের আশ্রয় দেয়া হয়নি। আরেকটি খবরে বলা হয়েছে, উদ্বাস্তু মানুষজন পরে জোর করে মসজিদে ঢুকে আশ্রয় নিয়েছিল।

এই খবরটি মানুষের মনে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং সে ওয়েবসাইট থেকে প্রায় দেড় লাখ শেয়ার হয়েছিল।
কিন্তু সোমবার সকালে সে ওয়েবসাইটে ইব্রাহিম হান্ডের ছবি সরিয়ে সেখানে লেবাননের ইমাম আহমেদ আহমেদ-আল-আসিরের ছবি ব্যবহার করা হয়।

এ খবরটিও একটি অনলাইনে ছাপা হয়, যারা নিজেদের রম্য ওয়েবসাইট বলে দাবী করে।

মি: হিন্দে তাঁর টুইটার একাউন্টে যখন বিষয়টি তুলে ধরেন তখন সেটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। টুইটারে তাঁর সে পোস্ট দুই লাখ শেয়ার এবং সাড়ে তিন লাখ লাইক হয়।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অনেকে লিখেছেন, মসজিদ এবং ইমামের নাম মুসলিম নামের মতো নয়।
তাছাড়া 'রামাশান মসজিদ' নামের কোন মসজিদ ইন্টারনেটে খোঁজ করে পাওয়া যায়নি।

বর্তমানে মক্কায় অবস্থানরত মি: হিন্দে লিখেছেন, তারা হজের সময় হারিকেন হার্ভের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রার্থনা করেছেন।

হিউস্টন এলাকায় বসবাসরত মুসলমানরা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে লিখেছেন, সেখানকার মসজিদগুলোতে দুর্গত মানুষজন আশ্রয় নিয়েছিল।

অন্তত চারটি মসজিদ দুর্গত মানুষদের সার্বক্ষণিক সহায়তা করেছে। তাদের মাঝে খাবার ও পানি বিতরণ করেছে।

সূত্র: বিবিসি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ