বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে হাতপাখার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে: পীর সাহেব চরমোনাই ‘মানুষ জানতে চায় ক্ষমতায় গেলে রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের জন্য কী করবে’ খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাজারবাগে পুলিশ কর্মকর্তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার পদত্যাগের পর আসিফ-মাহফুজকে যে পরামর্শ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা কারওয়ান বাজারে মুঠোফোন ব্যবসায়ীদের সড়ক অবরোধ কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ওলামায় কেরামের বিকল্প নেই: শায়খে চরমোনাই গোপালগঞ্জে পুলিশ সুপারের সঙ্গে ইসলামী আন্দোলন নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ পদত্যাগ করেছেন দুই উপদেষ্টা তফসিল: বিটিভি ও বেতারে রেকর্ড হলো সিইসির ভাষণ

দেবী থেমিসের মূর্তি না সরালে, আমরাই আন্দোলনে নামতাম: চারুকলা ইনস্টিটিউটের ডীন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : সুপ্রিমকোর্টের সামনে থেকে সরিয়ে নেয়া মৃণাল হকের ভাস্কর্যটির কোনো শিল্পমূল্য ছিল না এবং হেফাজতের আন্দোলনে না সরালেও শিল্পী সমাজই এটা সরানোর আন্দোলনে নামতেন বলে মন্তব্য করেছেন  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের ডীন নিসার হোসেন।

তিনি বলেন, ‘কোনো জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন বা ঐতিহ্য তুলে ধরতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে ভাস্কর্য শিল্প। যার উদাহরণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনের অপরাজেয় বাংলা। যেখানে শিল্পী সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ তুলে ধরেছেন মুক্তিযুদ্ধে আপামর মানুষের অংশগ্রহণ এবং নারীর অবদান। যা শিল্পের সব মানদণ্ডেও উত্তীর্ণ।’

আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয় সুপ্রিমকোর্টের মূল প্রবেশ পথে মৃণাল হকের তৈরি ভাস্কর্যকে নিয়ে। ন্যায় বিচারের প্রতীক দাবি করা হলেও একে মূর্তি আখ্যা দিয়ে অপসারণের আন্দোলনে সাফল্য পেয়েছে হেফাজতে ইসলামসহ কয়েকটি ইসলামী সংগঠন। ভাস্কর্যটি সরিয়ে বসানো হয়েছে অ্যানেক্স ভবনের সামনে।

হেফাজতের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম চলবে: সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট

এবার শিল্পী সমাজের পক্ষ থেকেই প্রশ্ন উঠেছে ভাস্কর্যটির শিল্পমান নিয়ে। ইসলামী সংগঠনগুলোর আন্দোলনে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের সামনে থেকে মৃনাল হকের একটি ভাস্কর্য সরিয়ে নেয়ার পরও রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে এই ভাস্করের ডজনখানেক শিল্পকর্ম। এত কাজ কিভাবে পেলেন মৃণাল হক? এমন প্রশ্ন করেন নিসার হোসেন।

তিনি আরও বলেন, ভাস্কর্যের শৈল্পিক দিক সম্পর্কে ততো জানে না সাধারণ মানুষ। তবে তা যেন হয় স্থানীয় সংস্কৃতি, ধর্মীয় আচার ও সামগ্রিক জীবন দর্শনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, সেই তাগিদ সংশ্লিষ্টদের। আর তা করতে হবে এসব শিল্পের স্রষ্টাদেরকেই।

-এআরকে


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ