বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

ভাসানী ছাড়া ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস অসম্পূর্ণ : ভাষা সৈনিক গোলাম সারওয়ার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

458আওয়ার ইসলাম : বাংলাদেশ ন্যাপ সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য, প্রবীণ রাজনীতিক ও ভাষা সৈনিক আলহাজ্ব গোলাম সারওয়ার খান বলেছেন,  ৫২-র ভাষা আন্দোলনে মওলানা ভাসানী ছিলেন প্রথম কাতারে। ভাষা আন্দোলনে করণীয় নির্ধারনে ৫২-র ৩১ জানুয়ারী ঢাকা বার লাইব্রেরীতে সর্বস্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের এক সাধারণ সভায় ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ গঠিত হয়। যার আহ্বায়ক ছিলেন মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী।

শনিবার রাজধানীর নয়াল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে মহান ভাষা শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ যুব ন্যাপ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গোলাম সারওয়ার খান এসব কথা বলেন।

গোলাম সারোয়ার খান বলেছেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে ভাষা আন্দোলনে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর অবদান অনস্বীকার্য। ১৯৪৮ সাল থেকে বিকশিত ভাষা আন্দোলনের প্রতিটি পর্যায়ে মওলানা ভাসানীর ছিল বলিষ্ঠ ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা।

পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা নিয়ে বিতর্কের প্রাথমিক পর্যায়ে কেবল বিবৃতিতে বা জনসভার ভাষণে নয়, পূর্ব বাংলার প্রাদেশিক পার্লামেন্ট ‘ব্যবস্থাপক সভায়’ও তিনি বাংলা ব্যবহারের দাবিতে সোচ্চার থেকেছেন। যেমন প্রাদেশিক ১৯৪৮ সালের ১৭ মার্চ ব্যবস্থাপক সভার অধিবেশনে মওলানা ভাসানী ইংরেজির পরিবর্তে বাংলা ভাষা ব্যবহার করার দাবি জানিয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে পার্লামেন্টের ভেতরে তিনি অবশ্য আর কথা বলার বা দাবি জানানোর সুযোগ পাননি। কারণ, স্বল্প সময়ের মধ্যে মুসলিম লীগ সরকার মিথ্যা অভিযোগে ব্যবস্থাপক সভায় তাঁর সদস্যপদ বাতিল করেছিল।

সভাপতির বক্তব্যে জিল্লুর রহমান পলাশ বলেছেন, ৫২-র ভাষা আন্দোলনের মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর যে অবদান তা আজ আর জাতিকে জানতে দিতে চায় না সামাজ্র্যবাদী শক্তির দালাল শাসকগোষ্ঠী। বরং তাকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে অব্যাহতভাবে। রাজনৈতিক কারণে মওলানা ভাসানীর নামটা ব্যবহার করলেও তাকে যথাযথ মূল্যায়ন করেনি কোনো সরকারই।

যুব ন্যাপ'র যুগ্ম সমন্বয়কারী জিল্লুর রহমান পলাশের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ন্যাপ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কামাল ভুইয়া, আলোচনায় অংশগ্রহন করেন যুব ন্যাপ যুগ্ম সমন্বয়কারী আবদুল্লাহ আল কাউছারী, ছাত্র কেন্দ্রের যুগ্ম সমন্বয়কারী সোহেল রানা, যুব ন্যাপ নেতা আবদুল হালিম, মোবারক হোসেন, মিয়া হোসেন, সাহিদা আক্তার প্রমুখ।

 -এআরকে


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ