বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট ২০২৫ ।। ৬ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২৭ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
কেন্দুয়ায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস প্রার্থীর আলোচনা সভা আগে সংবিধান সংশোধন, তারপর জাতীয় নির্বাচন: আখতার পাঠ্যবইয়ে গণহত্যাকারীদের তালিকায় থাকবে শেখ হাসিনার নাম: আসিফ মাহমুদ নির্বাচনের আগে অবশ্যই সংস্কার হতে হবে: শায়খে চরমোনাই রাজনীতি দিয়ে রাজনীতি মোকাবিলা করুন: তারেক রহমান মহানবী (সা.)-এর সিরাতই তরুণদের চরিত্র গঠনের রোল মডেল : ধর্ম উপদেষ্টা ইনসাফ ফাউন্ডেশনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, পরবর্তী সরকারের কোনো পদে থাকছি না: প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘের সন্ত্রাসী তালিকায় কেবল মুসলিমদের নাম: পাকিস্তান জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস দেশের জন্য অশনি সংকেত: জমিয়ত নেতৃবৃন্দ

ফেসবুক কিনছে ব্যবহারকারীর তথ্য!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

facebook_masudআওয়ার ইসলাম:  জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক  তৃতীয়পক্ষের মাধ্যমে তথ্য কিনছে ব্যবহারকারীর  এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য  প্রকাশিত হয়েছে এক মার্কিন সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে।

ফেসবুক যেন এখন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।   ঘুমের মধ্যেও সেই ফেসুবুক। বন্ধুর স্ট্যাটাস দেখা কিংবা কাউকে জন্মদিনে উইশ করা-সবই যেনো ফেসবুকে। কিন্তু সেই ফেসবুক-ই কিনা অফলাইনে তৃতীয়পক্ষের মাধ্যমে তথ্য কিনছে ব্যবহারকারীর।

বিশ্বজুড়ে ২ বিলিয়ন ব্যবহারকারীর তথ্য নখদর্পণে ফেসবুকের, এরপরও অফলাইনে ব্যবহারকারীর তথ্য কেনা নিয়ে ‘প্রশ্ন’ উঠেছে, আসলে করছে কী ফেসবুক? মার্কিন সংবাদপত্র প্রোপাবলিকার এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এমন তথ্যই প্রকাশ করা হয়েছে।

২০১২ সাল থেকে ফেসবুক তৃতীয়পক্ষের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর সম্পূরক ডেমোগ্রাফিক তথ্য কিনছে। তৃতীয় পক্ষ এই প্রতিষ্ঠানটি পরিবারের আয় অনুমান, কেনাকাটার অভ্যাস এবং আরও  অনেক তথ্য ফেসবুককে দিয়েছে। এমনকি আর্থিক অবস্থা নির্ণয় করতেও ব্যবহারকারীর কয়টি ডেবিট কার্ড/ক্রেডিট কার্ড রয়েছে সেই তথ্যও রয়েছে এর মধ্যে।

প্রতিষ্ঠানটি আনুমানিক ২৯ হাজার ডেমোগ্রাফিক তথ্য ট্র্যাক করে থাকে। যার ৯৮ শতাংশ জেনারেট করা হয় ফেসবুকে ব্যবহারকারীদের কর্মকাণ্ডের উপর ভিত্তি করে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়,ব্যবহারকারীরা ফেসবুকের বিজ্ঞাপন বিভাগে প্রাসঙ্গিক যে বিষয়গুলো বেশি দেখেন-তাও পর্যালোচনা করে ফেসবুক নিযুক্ত তৃতীয়পক্ষ প্রতিষ্ঠানটি। বিজ্ঞাপন প্রতিষ্ঠান থেকে সাধারণত ফেসবুক গ্রাহকের কোন ধরনের ডেটা কেনে প্রতিবেদনে তাও দেখিয়েছে প্রোপাবলিকা।

সেখানে বলা হয়েছে, ২৯ হাজার ধরনের ডেটার একটি তালিকা ডাউনলোড করা হয়েছে। যেসব ডেটা বিজ্ঞাপন প্রতিষ্ঠানগুলো সরবরাহ করে। প্রায় ৬০০ ধরনের তথ্য নেওয়া হয় তৃতীয়পক্ষ কোনো সংস্থা থেকে।

এ বিষয়ে সেন্টার ফর ডিজিটাল ডেমোক্রেসি-এর নির্বাহী পরিচালক জেফরি চেস্টার বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কখনও সৎ ছিলো না। পৃথক গ্রাহককে লক্ষ্য করে ফেসবুকও বেশ কিছু ডেটা কোম্পানিকে এক করেছে।

তবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে তৃতীয়পক্ষ নয়, ডিজিটাল পদাঙ্ক অনুসরণ করেই অবাধ তথ্যের দুনিয়ায় তথ্য ছাড়া হচ্ছে।

ফেসবুকের পাবলিক পলিসি অ্যান্ড প্রাইভেসি বিভাগের ম্যানেজার স্টিভ সাটারফিল্ড বলেন, আমাদের ডেটা কন্ট্রোল অ্যাপ্রোচ ও থার্ড পার্টির ডেটা অ্যাপ্রোচ ভিন্ন।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

ডিএস


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ