বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫ ।। ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ২১ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
মাদরাসায় আরবির পাশাপাশি ইংরেজির ওপর জোর দিতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা সংসদ ভাঙার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক, ১২০ দিনে নির্বাচন চায় জামায়াত মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ভবিষ্যতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পরিবর্তনে গণভোট লাগবে : আলী রীয়াজ মহিলা মাদরাসাগুলোকে বেফাকের অধীনে সুসংগঠিত করতে হবে: মুফতি আশরাফুজ্জামান কারাগার কেবলই শাস্তির স্থান নয়,  সংশোধনাগারও: ধর্ম উপদেষ্টা রাজনীতিতে শিষ্টাচার লঙ্ঘন করলে পতিত শক্তি সুযোগ নেবে: পীর সাহেব চরমোনাই কোরআনে যেসব প্রাণীর নাম বর্ণিত হয়েছে যেসব সুযোগ-সুবিধা পান দারুল উলুম দেওবন্দের শিক্ষার্থীরা খেলাফত মজলিস বার্মিংহাম শাখার মজলিসে শুরার অধিবেশন 

বিশুদ্ধভাবে সালাম দিলে কেউ জঙ্গি হয়ে যায় না: ড. তুহিন মালিক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ড. তুহিন মালিক।।

শুদ্ধভাবে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে সালাম দেওয়া এবং কথার শেষে ‘আল্লাহ হাফেজ’ বলা নাকি জঙ্গিবাদের লক্ষণ ! টিভি টকশোতে এসে এই ধরনের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম অবমাননাকর একটা বক্তব্য ঢাবির একজন শিক্ষক কিভাবে দিতে পারলেন! এই শিক্ষক ক্রিমিনোলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান। অথচ এই বিভাগ থেকে পাশ করে শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবেন। আর শিক্ষাজীবনে তারা যদি তাদের এই ধরনের শিক্ষকের কাছ থেকে জঙ্গি সনাক্তকরণের অদ্ভুত পদ্ধতির শিক্ষা গ্রহন করে। তাহলে বাংলাদেশের ভাগ্যে জঙ্গি রাষ্ট্রের তকমা লাগতে বেশী দেরি হবে না!

‘আসসালামু আলাইকুম’ হচ্ছে আমাদের তাহইয়া। যেটা স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন। আর ‘আসসালামু আলাইকুম’ এভাবে বলাটাই হচ্ছে আমাদের অভিবাদন। এজন্য কোরআন সুন্নাহ মোতাবেক বিশুদ্ধভাবে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বললে কেউ জঙ্গি হয়ে যায় না।

যদি তাই হতো। তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া উনার প্রতিটি রাষ্ট্রীয় ভাষণে এভাবে বলতেন না যে- ‘প্রিয় দেশবাসী, আসসালামু আলাইকুম’। আমাদের রাষ্ট্রপতি সংসদে দাড়িয়ে কিংবা রাষ্ট্রীয় প্রত্যেকটি ভাষণে এভাবে বিশুদ্ধভাবে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে সালাম জানাতেন না। আমাদের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও আমাদের জাতীয় নেতৃবৃন্দরা প্রায় সবাই বিশুদ্ধভাবে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলেই সালাম জানান। এটা শুধু যে আমাদের ধর্মীয় বিধান, তা নয়। বরং এটা আমাদের জাতীয় সংস্কৃতিরও একটি অংশ।

তাছাড়া বিশ্ব নেতৃবৃন্দরা পর্যন্ত মুসলিমদের উদ্দেশ্যে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলেই অভিবাদন জানান। গতবছর নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং মুসলিমদের প্রতি সম্প্রীতি জানিয়ে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলেই ভাষণ শুরু করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। আর এজন্যে বিশ্বের মুসলিম-অমুসলিম রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা কেউ কখনও জঙ্গি হয়ে যায়নি!

যেখানে বাংলাদেশের সংবিধান প্রতিটি নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দিয়েছে। যেখানে কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া কিংবা ধর্মের অবমাননা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যেখানে এধরনের অপরাধে ডিজিটাল ও তথ্য প্রযুক্তির একাধিক কঠিনতম আইনও আমাদের আছে। যদিও সেটা শুধুমাত্র ও একমাত্র সরকারের প্রতিপক্ষের বেলায়ই প্রযোজ্য। সেখানে কোরআন সুন্নাহ মোতাবেক বিশুদ্ধভাবে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বললে কেউ জঙ্গি হয়ে যাবে, এধরনের ধর্ম বিদ্বেষী কথা বলার ধৃষ্টতা কোথায় পায় এরা?

লক্ষ্যনীয় যে, বাংলাদেশ-বিরোধীরা বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশকে বিশ্বব্যাপী জঙ্গি রাষ্ট্রের তকমা দিতে উঠেপরে লেগেছে। সেখানে বিশ্ব প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের বিশুদ্ধভাবে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলাকে জঙ্গি সনাক্তকরণের পদ্ধতি বানিয়ে ফেলাটা স্বয়ং বাংলাদেশের বিরুদ্ধেই অবস্থানের প্রমান। সংবিধান স্বীকৃত নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থানের প্রমান। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও ধর্ম অবমাননার প্রমান। ধর্মীয় ঘৃণার বহিঃপ্রকাশের প্রমান।

জঙ্গি সনাক্তকরণের অদ্ভুত এহেন অবমাননাকর বক্তব্যের যদি কোন বিচার না হয়। তাহলে স্বয়ং সরকার নিজেই প্রমান করে দিবে যে, বিশুদ্ধভাবে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলার কারনে আমাদের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীও জঙ্গি।

-এএ


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ