বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫ ।। ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৮ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
কওমী মাদরাসার ছাত্রদেরকে দেশ সচেতন  নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল নব্য ফেরাউনের বিরুদ্ধে গণবিস্ফোরণ: জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকে পাকিস্তানি সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করল ভারত পি আর পদ্ধতি নির্বাচন : জনগণ কীভাবে দেখছে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় হাসপাতাল পরিচালক নিহত সকালের নাশতা কেন জরুরি: স্বাস্থ্য সচেতনদের পরামর্শ আজ লালবাগে ইসলামী ঐক্যজোটের সাথে সমমনা ইসলামী দলসমুহের বৈঠক দারুল আরকাম মাদরাসার দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু ! শিক্ষক সমিতির শোক প্রকাশ হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, চান্দিনা উপজেলা শাখার কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত ৷ চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে সশস্ত্রবাহিনী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে বিধ্বস্ত দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল। বিপুল পরিমাণ সম্পদ নষ্ট হয়ে পথে বসার উপক্রম কয়েক লাখ মানুষের। এখনো পানি বন্দি আছেন লক্ষাধিক মানুষ। তাদের উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তাসহ ইতোমধ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান পরবর্তী দুর্যোগ মোকাবেলায় সার্বিক ত্রাণ, উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তা কার্যক্রম শুরু করেছে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী।

এর মধ্যে সেনা সদস্যরা আগে থেকেই ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রম, ত্রাণ তৎপরতা ও চিকিৎসা সেবা প্রদানে যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। সেই ধারাবাহিকতায় তারা এখন ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত এলাকাসমূহে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে মিলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করছে। সবমিলিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্যোগ মোকাবেলায় সেনাবাহিনীর ১৪৬টি দল কাজ করছে।

এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা দিতে সেনাবাহিনীর ৭৬টি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। খাদ্য সহায়তা হিসেবে সেনাবাহিনীর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ১২ হাজার ৫০০ প্যাকেট ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ১৬টি ওয়াটার পিউরিফিকেশন প্ল্যান্ট ও ১৪টি ওয়াটার বাউজার প্রস্তুত রেখেছে তারা।

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ভোলা ও হাতিয়ার দুর্গম এলাকায় ত্রাণ সহায়তার জন্য নৌবাহিনীর দুটি জাহাজ চট্টগ্রাম নৌ জেটি থেকে রওনা দিয়েছে। এই দুটি জাহাজে মোট ৬০০ করে ১২০০ প্যাকেট ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের অন্যান্য জাহাজগুলোও জরুরি উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের জন্য যাত্রার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।

পাশাপাশি খুলনা নৌ অঞ্চল হতে বানৌজা কপোতাক্ষ ২০০ প্যাকেট ত্রাণসামগ্রী নিয়ে পটুয়াখালী এবং বানৌজা পদ্মা ৩৫০ প্যাকেট ত্রাণসামগ্রী নিয়ে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা করেছে।

এ ছাড়া সাতক্ষীরার গাবুরা ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কাজে ২২ সদস্যের একটি নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট টিম এবং উদ্ধার অভিযান পরিচালনায় সাত সদস্যের একটি ডাইভিং টিম কাজ করছে।

অন্যদিকে, বিমানবাহিনীর একটি সি-১৩০ পরিবহন বিমান, একটি এমআই-১৭ এসএইচ হেলিকপ্টার, একটি অগাস্টা-১১৯ হেলিকপ্টার এবং একটি বেল-২১২ হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের উদ্দেশ্যে দ্রুততার সঙ্গে পরিদর্শন করে।

পরে ক্ষয়ক্ষতির বাস্তব চিত্র যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট পেশ করা হয়। এ ছাড়া ১১৯ জন বিমানবাহিনীর সদস্যের একটি দল বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে সাতক্ষীরায় গেছে।

-এএ


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ