‘‘সবার জন্য কুরবানী’’ এই প্রতিপাদ্যে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে প্রতিবছরের মতো এবারও নও মুসলিম ও নিম্নআয়ের মানুষদের মাঝে কুরবানির মাংস বিলিয়ে দিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করল আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশন। সারাদেশের ন্যায় দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের মউ গ্রামে ও পৌরশহরের তেরীবাজার এলাকায় প্রায় শতাধিক পরিবারের মাঝে এ গোশত বিলিয়েছেন আসসুন্নাহ’র স্বেচ্ছাসেবকরা।
শনিবার ( ৭ জুন ) বিকেল পর্যন্ত যারা কুরবানী দিতে পারেননি বা লোকলজ্জার কারণে কারো বাড়িতে বা অন্য কোথাও গোশত আনতে যেতে পারেননি অথবা নও মুসলিম ও অসহায়, এ ধরনের পরিবার গুলোর তালিকা করা হয় আগ থেকেই।
কুরবানীর ঈদের কয়েকদিন আগে থেকেই চলতে থাকে তালিকা তৈরির কাজ। ঈদের দিন নামাজ শেষে নির্ধারিত এলাকায় গিয়ে স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে শুরু হয় জবাই করা এবং গোশত কাটার কাজ। পরে সব গোশত একত্র করে পুনরায় শুরু হয় প্যাকেট করা। নির্ধারিত তালিকা মোতাবেক চলে বিতরণ। কোনো কোনো সময় ঈদের দিন সব বিতরণ করা সম্ভব না হলেও ঈদের পরের দিন ওই গোশত বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দেয়া হয়। 
  
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গোশত নিতে আসা একজন বলেন, আমি শরিকের মাধ্যমে প্রতিবছর কুরবানী দিতাম কিন্তু গত দুবছর হলো ব্যবসা করতে গিয়ে টাকা নষ্ট করে ফেলেছি, পরে আর কুরবানি দেওয়া হয় না। কারো কাছে গোশত চাইতে যেতেও পারি না লোকলজ্জায়। আসসুন্নাহ্ ফাউন্ডেশন কিভাবে আমার নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে জানিনা, আমার মেয়ের হাতে পাঠিয়ে দিলো এক পেকেট খাসির গোশত। এ যেন এক অন্যরকম আনন্দ উপভোগ করছি আমি। ধন্যবাদ আসসুন্নাহ্ ফাউন্ডেশন কে।
এ কাজে নিয়োজিত স্থানীয় প্রতিনিধি মাসউদুর রহমান ফকির বলেন, সারাদেশই আস সুন্নাহ্ ফাউন্ডেশন অসহায়দের পাশে থেকে নানা ধরনের কাজ করে যাচ্ছে। এ বছর রেকর্ড সংখ্যক ২০৮ টি গরু এবং ৮১৬ টি ছাগল, মোট ১০২৪ টি পশু কুরবানী করল আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। এমন কাজ করতে পেরে তাঁরা শুকরিয়া আদায় করে বলেন সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর। যারা কুরবানী করতে আমাদের ওপর আস্থা রেখেছিলেন, সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।
দাতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের কুরবানীর পশু কোথায় জবাই হয়েছে, ইতোমধ্যে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। আজ থেকে পশুর ছবি, মাংস বিতরণের ছবি প্রত্যেকের মেইলে পাঠানো শুরু হবে ইনশাআল্লাহ।
দেশব্যাপী এই কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় ঈদুল আযহা উপলক্ষে দুর্গাপুরে গরু খাসি মিলে ৭টি পশু কুরবানী দিয়ে তাদের বাড়িতে গোশত বিতরণ করা হয়েছে। কুরবানী মানেই ত্যাগ, এ কাজ করে ঈদের আনন্দ সবার মাঝে বিলিয়ে দিয়ে সত্যিই আমি আনন্দিত।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মুফতি ইমরান হোসাইন, স্বেচ্ছাসেবক জহিরুল ইসলাম, মো. আবু রায়হান, আব্দুল লতিফ, হাফিজ উদ্দিন, মো. ফজলুল হক প্রমুখ।
এমএম/
 
                              
                           
                              
                           
                         
                              
                          
 
                        
                                                  
                                                  
                                               
                                                  
                                               
                                      
                                         
                                      
                                         
                                      
                                         
                                      
                                        _medium_1757047336.jpg) 
                               
                               
                              