শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৮ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মসজিদে নববীর ইমামের পেছনে নামাজ পড়তে মালদ্বীপে মুসল্লিদের ঢল আ.লীগ নিষিদ্ধের কথা বললে সরকার পশ্চিমাদের দোহাই দেয় : সারজিস নারী সংস্কার কমিশন বাতিল না করলে আন্দোলনের দাবানল জ্বলবে: হেফাজত আটপাড়ায় হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধির সুপারিশ মজলিসে আমেলার বৈঠকে জমিয়ত, রাত পোহালেই কাউন্সিল কাল ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিল, প্রস্তুতি সম্পন্ন ‘রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক সংস্কার না হলে আবারও ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দেবে’ মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) সেবা ফাউন্ডেশনের কিতাব বিতরণ "পাশ্চাত্যের শক্তি নয় আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে এদেশের কোরআনপ্রেমী জনতা”

এবার নেপালে বন্ধ হলো টিকটক


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: ইন্টারনেট

২০২০ সালে ভারত এই চীনা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপটি বন্ধ করে দেয়। এবার নেপালও সেই পথে হাঁটলো।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিবৃতি দিয়ে নেপালের সরকার জানিয়েছে, সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষা করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে তারা।

ক্যাবিনেট মন্ত্রী রেখা শর্মা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তারপরেই সমস্ত ইন্টারনেট প্রোভাইডারদের বলা হয়েছে দ্রুত অ্যাপটি ব্লক করে দেওয়ার জন্য। সোমবারের মধ্যেই প্রায় গোটা নেপালে টিকটক ব্লক করে দেওয়া হয়েছে।

রেখা জানিয়েছেন, টিকটকের মাধ্যমে সমাজে অশ্লীল ভিডিও এবং ছবি ছড়িয়ে পড়ছিল। সে কারণেই এই চরম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সরকারের এই পদক্ষেপ নিয়ে অবশ্য সরকারের ভিতরে এবং বাইরে চরম সমালোচনা শুরু হয়েছে।

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ গ্যাওয়ালি বলেন, সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলিতেও এই ধরনের অশ্লীল ভিডিও এবং ছবি থাকে। সেগুলিকেও কি বন্ধ করে দেওয়া হবে? প্রদীপের বক্তব্য, বন্ধ করে নয়, সমাজিক মাধ্যমগুলির কনটেন্টে সরকারকে হস্তক্ষেপ করতে হবে। কোথায় কী যাচ্ছে তার উপর নজরদারি করতে হবে। কিন্তু কোনো অ্যাপ বন্ধ করে দেওয়া কখনোই কোনো সমাধান হতে পারে না।

নেপালি কংগ্রেসের নেতা গগন থাপা জানিয়েছেন, ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। এভাবে সমাজকে রক্ষা করা যাবে না।

২০২০ সালে লাদাখে চীনের সঙ্গে সংঘাত শুরু হওয়ার পর ভারত চীনের অ্যাপ টিকটক বন্ধ করে দিয়েছিল। ভারতের বক্তব্য ছিল, এই অ্যাপ ভারতের গোপন তথ্য বাইরে ফাঁস করে দিচ্ছে। ওই সময় ভারতে কয়েক কোটি টিকটক ব্যবহারকারী ছিলেন। নেপালেও টিকটক অত্যন্ত জনপ্রিয়।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ