খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, নতুন বাংলাদেশে সুষ্ঠু, পেশীশক্তি ও কালো টাকার প্রভাবমুক্ত নির্বাচনের প্রত্যাশা সবার। এজন্য নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয় সংস্কার জরুরি। জুলাই সনদ ঘোষণা ত্বরান্বিত করে এটিকে শক্তিশালী আইনি ভিত্তি দেওয়া দরকার। কার্যকর সংস্কার ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এটি অপরিহার্য। পাশাপাশি গণহত্যাকারী পতিত ফ্যাসিস্টদের বিচারে দৃশ্যমান অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় নেতৃবৃন্দ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, জননিরাপত্তা নিশ্চিত ও জীবনযাত্রার ব্যয় সহনীয় রাখতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
সভায় আরও বলা হয়, সম্প্রতি সমকামিতা ও ট্রান্সজেন্ডার মতবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় দু’জন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক—ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন ও আসিফ মাহতাব উৎসকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ্যে হত্যার উস্কানি দেওয়া হয়েছে। যা সাইবার সুরক্ষা আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যদিও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে উস্কানিদাতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তবে আইনগত পদক্ষেপে প্রশাসনের তৎপরতা দৃশ্যমান নয়।
নেতৃবৃন্দ স্পষ্ট করে বলেন, বাংলাদেশে ইসলাম ও সমাজবিরোধী অপচেষ্টা—বিশেষ করে পশ্চিমা বিকৃত চিন্তা-চেতনা ও অপসংস্কৃতি স্বাভাবিকীকরণের কোনো উদ্যোগই সহ্য করা হবে না। যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ডে লিপ্ত, তারা দল-মত নির্বিশেষে জাতির কাছে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমীর সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন—নায়েবে আমীর মাওলানা সাইয়্যেদ ফেরদাউস বিন ইসহাক, যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিজানুর রহমান, অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, আমিনুর রহমান ফিরোজ, প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, এডভোকেট শায়খুল ইসলাম, তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, মো. জিল্লুর রহমান, ডা. আসাদুল্লাহ, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মুফতি আবদুল হক আমিনী, অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, আলহাজ্ব নুর হোসেন, মাওলানা ফারুক আহমদ ভূইয়া, মো. আবুল হোসেন, মাওলানা আজীজুল হক, আলহাজ্ব আমির আলী হাওলাদার প্রমুখ।
এসএকে/