সোমবার, ১৯ মে ২০২৫ ।। ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ ।। ২১ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
আমরা কখনোই ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেব না: পাকিস্তান নির্বাচন হতে পারে ডিসেম্বরেই তবে জুনের পরে নয় : প্রধান উপদেষ্টা ‘সমমনা ইসলামী দলগুলো একত্রে নির্বাচন করলে বিজয় সম্ভব’ আরও সাঁড়াশি ইসরায়েল, গাজায় ব্যাপক স্থল হামলা শুরু জমিয়ত সহ-সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস কাসেমীকে দেখতে হাসপাতালে জমিয়ত মহাসচিব  সৌদি-ইসরায়েলের সম্পর্ক ঠেকাতে গাজায় ঝরল ৫৩ হাজার প্রাণ এবার খুলনা সিটি নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের দাবিতে হাতপাখার প্রার্থীর মামলা ‘আত্মস্বীকৃত পতিতাদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করুন’ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কুমিল্লা পশ্চিম জেলা কমিটি গঠন মানবিক করিডর ও সমুদ্র বন্দর সিদ্ধান্ত জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী: ইসলামী ঐক্যজোট 

এই কর্মসূচির মাধ্যমে দেশ কোন পথে যাবে সময়ই বলে দেবে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| শাব্বির আহমদ খান ||

জুলাই-আগস্ট ২০২৪—বাংলাদেশের ইতিহাসে এক রক্তাক্ত অধ্যায়। এই মাস দুটিতে রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও সরকার সমর্থিত বাহিনীর হাতে নিহত, গুম এবং আহত হন শত শত মানুষ। গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার, কোটা বাতিল এবং ন্যায্যতার দাবিতে রাস্তায় নেমে আসা সাধারণ ছাত্র-জনতার  ওপর চালানো হয় নজিরবিহীন দমনপীড়ন।

এই বর্বরতার বিরুদ্ধে আজ দেশজুড়ে গড়ে উঠেছে নতুন এক প্রতিরোধ-আন্দোলন, যার কেন্দ্রে রয়েছে একটি স্পষ্ট দাবি—গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।

এই দাবিকে সামনে রেখে চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো, নিপীড়নের শিকার পরিবার ও সচেতন নাগরিকরা একত্রিত হচ্ছেন। ফ্যাসিবাদবিরোধী জোট, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড, গুম-খুনের শিকার পরিবার, এবং সর্বশেষ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবার নিয়ে গঠিত এক জোটে ঘোষণা দিয়েছে ধারাবাহিক কর্মসূচি।

তরুণ রাজনৈতিক নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন—
"বাদ জুমা যমুনার সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে। এতে অংশ নেবে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দলসমূহ, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা হত্যাকাণ্ড, গুম, খুন ও নিপীড়নের শিকার পরিবারগুলো এবং সর্বশেষ জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবার। গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলছে এবং চলবে।"

এই বক্তব্যে প্রতিফলিত হচ্ছে ক্ষোভ ও  দৃঢ় প্রতিজ্ঞা। অব্যাহত এই অবস্থান কর্মসূচি দেশকে কোন পথে নিয়ে যাবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে ইতিহাস সাক্ষ্য দেবে, এক সময় যারা রাষ্ট্রক্ষমতায় বসে গণহত্যা চালিয়েছিল, তাদের বিচার দাবি করেছিল দেশের সাধারণ মানুষ।

এমএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ