শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ১১ পৌষ ১৪৩২ ।। ৬ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামপন্থীদের ‘একবাক্স নীতি’ কি মুখ থুবড়ে পড়ছে? শহীদ হাদির আদর্শ সামনে রেখে মিশরে 'আজহার আফকার'র যাত্রা আবারও বাংলাদেশি সন্দেহে ভারতে মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা তারেক রহমানের দেশে ফেরা গণতান্ত্রিক সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ অর্জন: হাসনাত ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের এভারকেয়ার থেকে গুলশানের বাসার উদ্দেশে তারেক রহমান সাহিত্য সভায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন কবি ও লেখক মোহাম্মদ কুতুবউদ্দিন মহানবী (সা.)-এর ন্যায়পরায়ণতার আলোকে দেশ পরিচালনা করবো: তারেক রহমান ১ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়ে যা বললেন পীর সাহেব চরমোনাই

৫ নভেম্বর মহাসম্মেলনে বক্তব্য প্রদানে মাওলানা শরীফ মুহাম্মদের পরামর্শ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

দাওয়াত ও তাবলীগ, মাদারেসে কওমিয়া এবং দ্বীনের হেফজতের লক্ষে কাল মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের বিশিষ্ট উলামা-মাশায়েখের উদ্যোগে ‘ইসলামী মহাসম্মেলন’।

কালকের মহাসম্মেলন সফল করতে আহ্বান জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ আলেমগণ। ইতোমধ্যে সোহরাওয়ার্দী ময়দান মহাসম্মেলনের জন্য প্রস্তুত হয়েছে বলে জানা গেছে। আগামীকাল লোকে লোকারণ্য হবে ধারণা করা হচ্ছে।   

এদিকে ৫ নভেম্বর মহাসম্মেলনে বক্তব্য প্রদানে বিশিষ্ট লেখক-গবেষক সুসাহিত্যিক, আলোচক মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ (হাফিজাহুল্লাহু) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডির পোস্টে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হল:


ইসলামী অঙ্গন কিংবা আলেম-ওলামাদের জগতের গুরুত্বপূর্ণ সবকিছু আমার জানতে হবে অথবা বুঝতে হবে, এটা জরুরি না। ৫ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশ সম্পর্কেও আমি তেমন কিছু জানি না। বড় আলেমদের বড় একটি অংশ আহবান করেছেন, উপস্থিত থাকবেন, ব্যাস এটা ঠিক আছে। শুধু একটা অনুরোধ, বক্তব্যের সময় হুংকার দেবেন না, অযাচিত এবং উত্তেজনাপূর্ণ কথাবার্তা বলবেন না। মূল কথাগুলো, দরকারি পয়েন্টগুলো স্পষ্ট ভাষায় তুলে ধরবেন। যারা হুংকার-উত্তেজনা ছাড়া কথা বলতে পারেন না, তারা লিখিত নোট দেখে দেখে পড়বেন এবং বাকি সময় জিকির করবেন।

আল্লাহর ওয়াস্তে সময়, পরিস্থিতি, শত্রুতা-মিত্রতার পরিধি, দেশ-বিদেশের অবস্থা এবং দ্বীনী দাওয়াহর সার্বিক চিত্রটি মাথায় রাখবেন। সত্যের পক্ষে কথা বলা ও অবস্থান তুলে ধরা অবশ্যই জরুরি। পরিমিত স্পষ্ট কঠোর শব্দ উচ্চারণ করতে পারেন, আওয়াজ এবং হাঙ্গামা উচ্চকিত করবেন না। আল্লাহ তাআলা সবকিছু সহজ করুন এবং বিশ্ব দাওয়াতি অঙ্গনকে এক ব্যক্তির হঠকারিতা থেকে মুক্ত করুন।

আমার শব্দ-বাক্যে কেউ কষ্ট নেবেন না। একই জিনিস (অতি আওয়াজ ও উত্তেজনা) বারবার বিপদ ও অগ্রহণযোগ্যতা বয়ে নিয়ে আসে। সতর্ক ও সংযত হলে আমাদেরই কল্যাণ। সতর্কতায় কোনো ক্ষতি নেই।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ