সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১৮ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
এক সপ্তাহের মধ্যে পরামর্শ জানাতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি সরকারের আহ্বান নতুন প্রজন্মের জন্য 'ধূমপান' সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করল মালদ্বীপ জামায়াত ক্ষমতায় আসলে কওমি ও সুন্নিদের অস্তিত্ব থাকবে না: মহিবুল্লাহ বাবুনগরী ঢাকায় ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়ায় আওয়ামী লীগের ৬ নেতাকর্মী আটক ‘আমি তোমাদের মায়ের বয়সী’ বলে কাঁদলেও ধর্ষণ থেকে রেহাই পাননি সুদানি নারী ৬ মাসে হাফেজ হলেন ৯ বছর বয়সী হাসান পিতার হাতে ৩ বছরের কন্যাশিশু খুন বিভাজন নয়, প্রয়োজন ঐক্য প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে থাকা অস্ত্র দিয়ে দুনিয়াকে ১৫০ বার উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব: ট্রাম্প

জাতীয় মসজিদের খতীব মুফতি আব্দুল মালেকের বিনয় ও আমাদের শিক্ষা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| মুফতি আব্দুল মজিদ ||

২০২৩ সালের মে মাসের ২ তারিখ মঙ্গলবার বাদ মাগরিব মারকাযুদ্দাওয়ায়  দেশের শীর্ষস্থানীয় দুইজন আলেমের মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্কের সূচনা হয়েছে। প্রথমজন মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেব ও দ্বিতীয় জন মাওলানা আবু সাবের আব্দুল্লাহ সাহেব, শাইখুল হাদীস মালিবাগ জামিয়া ঢাকা । এ সাংবাদ ইতিমধ্যে সকলের জানা ।

২৪ এপ্রিল ২০২৩ মাওলানা আবু সাবের আব্দুল্লাহ সাহেব আমাকে এই বিবাহতে হাজির থাকার দাওয়াত দিয়েছেন। ২৫ এপ্রিল  মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেব আমাকে এ বিবাহতে উপস্থিত থাকার কথা বলেছেন ।

শিক্ষনীয় বিষয় হচ্ছে,  দুইজনই দাওয়াতের সময় একে অপরের ব্যাপারে প্রায় একই মন্তব্য করেছেন ।

দুই হযরতের বক্তব্য ছিল কিছুটা এমন-

আমি তো আসলে তার মত বড় মানুষের সাথে আত্মীয়তা করার যোগ্য নই। তার  মহাত্ম্য যে, তিনি আমাকে আত্মীয় হিসাবে নির্বাচন করেছেন। 

ইলম একজন মানুষের ভেতরে কী পরিমান বিনয় সৃষ্টি করে এটা দেখে বিস্মিত হলাম!

অথচ আমাদের সমাজের মানুষ বলে থাকে- তিনি কি আমার যোগ্য ? আমি শুধু এক বিপদে পড়েই বা আমার ছেলের আগ্রহের কারনে তাকে আত্মীয় হিসেবে গ্রহণ করেছি। ইলম ও জাহালত মানুষের মধ্যে কি পরিমাণ পার্থক্য সৃষ্টি করে এটাই তার একটি উদাহরণ।

তাঁরা আমাদের আকাবিরদের যোগ্য উত্তরসূরী ।

হাকিমুল উম্মাত হজরত আশরাফ আলী থানভী রহ. এর একটি ঘটনা এখানে উল্লেখ করা যায়।

এক ব্যক্তি তার কাছে চিঠি লিখল-

 হযরত আমি আপনার সাথে দেখা করতে চাই কিন্তু আমার  মুখে দাঁড়ি নাই প্যান্ট-শার্ট পরি। তাই সংকোচবোধ করছি।

চিঠির জবাবে হজরত বললেন, আপনি কিছু প্রকাশ্য গোনার সাথে জড়িত। আমি কিছু গোপন গুনার সাথে জড়িত। তাই এক গোনাগার আরেক গোনাগারের সাথে দেখা করতে পারে। তাই চলে আসুন।

ছয় মাস পরে লোকটা দেখা করতে আসলে হজরত বললেন, চিঠির বর্ণনার সাথে তো আপনার সুরতের মিল নাই (ইতিমধ্যে সে দাঁড়ি রেখে ফেলেছে) ?

সে বলল, হযরত আপনার বিনয় আমার জীবনকে পরিবর্তন করে দিয়েছে।

সত্যিই আমাদের আকাবির আমাদের গর্ব। তাদের বিনয় অন্যকে হেদায়েতের পথ দেখায়।

আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এই সিফাতগুলো অর্জনের মাধ্যমে হেদায়েতের বাতি বানিয়ে দেন।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ