মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ১৮ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ১০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
নুরের ওপর সেনা-পুলিশ হামলা ন্যাক্কারজনক, নিঃশর্ত দুঃখপ্রকাশ করতে হবে: নাহিদ  পিআর ও জুলাই সনদ নিয়ে বাড়ছে বিরোধ, কোন পথে ইসলামি দলগুলো কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা ও আন্তর্জাতিক মহাসমাবেশ বাস্তবায়নে পরামর্শ সভা  আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রাণহানির ঘটনায় খেলাফত মজলিসের শোক আলেমে রাব্বানী ক্বারী তৈয়ব (রহ.)-এর স্মরণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মির্জা ফখরুলের হাতে ফুল তুলে দিলেন সারজিস ‘কোরবানির চামড়া লবণজাত করে ক্ষতিগ্রস্ত মাদরাসার পাশে দাঁড়ায়নি সরকার’  আওয়ামী ‘দোসরদের’ রাজনীতি নিষিদ্ধে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকসুতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সমর্থিত প্যানেলের ইশতেহার ঘোষণা মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

ড. ইউনূসের কোনো ব্যক্তিগত সম্পত্তি-গাড়ি নেই : প্রেসসচিব

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নিজের কোনো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নেই, এমনকি তার নামে কোনো গাড়িও নেই। 

সোমবার (১২ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম এসব কথা জানান। 

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে প্রেসসচিব বলেন, ‘বর্তমান সরকারের সময় ড. ইউনূসের যেসব প্রতিষ্ঠান অনুমোদন বা সুবিধা পেয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে, তার মধ্যে কোনোটি কি ড. ইউনূসের ব্যক্তিগত মালিকানায় আছে? তিনি এসব প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো ধরনের আর্থিক বা ব্যক্তিগত সুবিধা নিচ্ছেন কি না—তা খতিয়ে দেখা দরকার।

তিনি বলেন, “শুধু ‘গ্রামীণ’ নামটা ড. ইউনূস দিয়েছেন বলে এসব প্রতিষ্ঠান তার হয়ে যায় না।

তার কোনো শেয়ার নেই, সম্পত্তি নেই—এটা কেউ প্রমাণ করতে পারলে দেখাক।”

তিনি আরো বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের অনুমোদনের পেছনে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ ছিল না। বরং তিনি সবাইকে বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখার আহ্বান জানান।

গ্রামীণ এমপ্লয়মেন্ট এজেন্সি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে এই সংস্থাটি লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে।

তখন ড. ইউনূস সৌদি আরবে ছিলেন এবং সেখানে একটি জার্মান-সৌদি হাসপাতাল চেইন তাকে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ নার্স ও হাসপাতালের কর্মী পাঠানোর অনুরোধ জানায়। তারা চেয়েছিল ইউনূসের মাধ্যমে কর্মী আনতে, কারণ এতে খরচ কম হবে। সেই সময় শেখ হাসিনার সরকার এর অনুমোদন দেয়নি। এখন যদি ২০২৪ সালের পরে অনুমোদন দেওয়া হয়, তাহলে এতে সমস্যা কোথায়? বাংলাদেশে এমন প্রায় সাড়ে তিন হাজার রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি আছে।

গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০১২-১৪ সালের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল এবং ২০১৪ সালে পূর্বাচলে ২০০-৩০০ বিঘা জমিও কেনা হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) আবেদন গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানাত। তারা বলত, অনুমোদন দেওয়া সম্ভব নয়। শেষ পর্যন্ত সব কিছু যাচাই-বাছাই করে গত ৬ মাস ধরে অডিট শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। 

এ সময় অনুষ্ঠানে ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন, সহ-সভাপতি গাজী আনোয়ার এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল উপস্থিত ছিলেন।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ