সোমবার, ০৫ মে ২০২৫ ।। ২২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৭ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :

প্রত্যাহার হচ্ছে হেফাজতের দুই শতাধিক মামলা, প্রক্রিয়া শুরু


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
সংগৃহীত

স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে হেফাজতের ইসলামের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় কয়েক শ মামলা করে। আসামি করা হয় হাজার হাজার মানুষকে। অবশেষে হেফাজত নেতাদের দাবির মুখে হয়রানিমূলক ও মিথ্যা এসব মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ইতোমধ্যে ২০৩টি মামলা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে যেসব মামলার এজাহার হয়েছে সেগুলো আদালতে নিষ্পত্তি হবে। 

সোমবার (৫ মে) গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে করা ২০৩টি মামলা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পুলিশের একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমটি এ খবর প্রকাশ করেছে।

আগামী তিন মাসের মধ্যে এসব মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে সংবাদে। এ জন্য থানাগুলোতে তদন্ত শুরু হয়েছে, দেওয়া হবে চূড়ান্ত প্রতিবেদন।

যেসব মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর নিষ্পত্তি হবে আদালতের মাধ্যমে।

২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ঘটনায় রাজধানী ঢাকাসহ সাত জেলায় ৮৩টি মামলা করা হয়। এসব মামলায় তিন হাজার ৪১৬ জনের নাম উল্লেখসহ ৮৪ হাজার ৯৭৬ জনকে আসামি করা হয়।
এর মধ্যে দুটি মামলার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। ১৮টি মামলার অভিযোগপত্র দিলেও এগুলোর বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি।

হেফাজতের নেতারা বলছেন, রাজনৈতিকভাবে তাদের নিয়ন্ত্রণ করতেই মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। তাদের দাবি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) মামলাগুলো প্রত্যাহারের আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তা হয়নি। তবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর আশার আলো দেখছেন তারা।

পুলিশ সদর দফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, কিছু পুলিশ কর্মকর্তা সরকারের মন জোগাতে এসব মামলা করেছিলেন। এখন আর হয়রানির জায়গা নেই। মামলা প্রত্যাহারের নির্দেশনা এসেছে।

গত ৩ মে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজত যে মহাসমাবেশ করে সেখানে অন্যতম দাবি ছিল মামলাগুলো প্রত্যাহার করা। এর আগে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে হেফাজত নেতারা মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানান। উপদেষ্টা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে শিগগির মামলা প্রত্যাহার করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেই আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতেই অবশেষে মামলা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ