শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২০ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
এবার খুলনায় ‘মার্চ ফর গাজা’ শ্রমিক মজলিসের সভাপতি আবদুল করিম, সাধারণ সম্পাদক এরশাদ ‘নষ্ট রাজনৈতিক সংস্কৃতি দিয়ে দেশ ও মানুষের কল্যাণ সম্ভব নয়’ ৫ বছর আগের এই দিনে কী হয়েছিল মাওলানা আনসারীর জানাজায়? হজযাত্রীর জন্য চালু হচ্ছে হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার, থাকবে অ্যাপ কুয়েট শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিন- ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ  আইন করে ভারতে মুসলিমদের অধিকার হরণ করা যাবে না: জমিয়ত করাচি-চট্টগ্রাম রুটে নৌযান চলাচলকে স্বাগত জানিয়েছে দুই পক্ষ: পাকিস্তান ২৬ এপ্রিল জমিয়তের কাউন্সিল, প্রাধান্য পেতে পারে তরুণ নেতৃত্ব কওমি সনদ বাস্তবায়ন  করা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব: ধর্ম উপদেষ্টা

বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি, প্লাবিত নিম্নাঞ্চল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার নিচে থাকলেও রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে লালমনিরহাটের ৫ উপজেলাসহ রংপুরের কয়েকটি উপজেলার ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পানির গতি নিয়ন্ত্রণ করতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় রংপুরের কাউনিয়া পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপরে। আর দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার নিচে।

স্থানীয়রা জানান, উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলার তিস্তা অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যার পানি নেমে যেতে না যেতেই ফের বন্যার আশঙ্কায় আতংকিত হয়ে পড়েছেন তিস্তার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের মানুষ। এ নিয়ে ১০ বারের মতো বন্যার কবলে পড়েছেন তিস্তাপাড়ের মানুষ।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা জানান, তিস্তার পানি প্রবাহ কাউনিয়াতে বেশি থাকলেও ডালিয়া পয়েন্টে কম রয়েছে। মূলত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির ফলে তিস্তা নদীতে পানি করেছে। বৃষ্টিপাত কমে গেলে তিস্তা পানি কমছে শুরু করবে। এ নিয়ে চলাঞ্চলের মানুষের দুশ্চিন্তা কারণ নেই।

তিস্তার পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ফের পানিবন্দি হতে শুরু করেছে এসব এলাকার নিম্নাঞ্চলে বসবাসকারী পরিবারগুলো। এসব অঞ্চলে বিগত বন্যায় শুরু হওয়া ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে দাবি করেছে জেলা প্রশাসন।

এম আই/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ