শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ১৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৭


মহাকাশ থেকে তোলা ছবিতে ধরা পড়ল কাবাঘরের জ্যোতি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সাবেক নভোচারী ও অভিজ্ঞ অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার ডন পেটিটের একটি চমকপ্রদ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে তোলা এই ছবিতে রাতের অন্ধকারে সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কা একটি জ্যোতির্বিন্দুর মতো ঝলমল করছে, যার কেন্দ্রে স্পষ্টভাবে আলোকিত পবিত্র কাবা শরিফ।

পৃথিবী থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার উচ্চতায় আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে গত ২ ডিসেম্বর এই ছবিটি তোলা হয়েছে। ডন পেটিট তাঁর এক্স অ্যাকাউন্টে ছবিটি পোস্ট করে ক্যাপশন দিয়েছেন, ‘মহাকাশের কক্ষপথ থেকে তোলা সৌদি আরবের মক্কা নগরীর দৃশ্য। কেন্দ্রের উজ্জ্বল বিন্দুটি পবিত্র কাবা শরিফ, ইসলামের সবচেয়ে পবিত্র স্থান, যা মহাকাশ থেকেও স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।’

ছবিটিতে মক্কা নগরীর বিস্তৃত জনবসতি ও পাহাড়ি উপত্যকার প্রাকৃতিক গঠন ফুটে উঠেছে। তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় হলো মসজিদুল হারাম ও তার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত কাবা শরিফের চারপাশে বিকিরণ করছে এক ঔজ্জ্বল্য, যা গোটা নগরীর আলোকসমুদ্র থেকে স্বতন্ত্র। বিশেষজ্ঞদের মতে, মসজিদুল হারাম প্রাঙ্গণে স্থাপিত লক্ষাধিক শক্তিশালী এলইডি ও সোডিয়াম বাতির সমন্বয়ে তৈরি এই আলোকব্যবস্থাই মহাকাশ থেকে এতটা উদ্ভাসিত রূপে ধরা দিয়েছে।

এই দৃশ্য দেখে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা অভিভূত। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘এ যেন পৃথিবীর বুকে আল্লাহর নূরের একটি জীবন্ত প্রদীপ, যা মহাবিশ্বের অন্ধকারেও তার উপস্থিতি জানান দিচ্ছে।’ অনেক ব্যবহারকারী নভোচারী পেটিটকে এই অপরূপ দৃশ্য ধারণ ও বিশ্ববাসীর সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

ডন পেটিট একজন রসায়ন প্রকৌশলী এবং মহাকাশ থেকে অভূতপূর্ব দৃশ্য ধারণের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত। তাঁর তোলা পৃথিবীর মেঘপৃষ্ঠে নক্ষত্রপথ, মহাদেশীয় বনাঞ্চলে বজ্রঝড় এবং মেরুপ্রভা বা অরোরার চিত্র আগেও বৈজ্ঞানিক ও শৈল্পিক মহলে সাড়া ফেলেছে।এই চিত্র কেবল একটি প্রযুক্তিগত কীর্তিই নয়; এটি বিশ্ববাসীর জন্য একটি দৃষ্টান্তও বটে- কীভাবে একটি স্থান ভৌগোলিক সীমানায় থেকে বিশ্বাস ও আধ্যাত্মিকতার আলোয় সমগ্র বিশ্বে প্রজ্বলিত থাকে।

এলএইস/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ