শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৭ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
"পাশ্চাত্যের শক্তি নয় আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে এদেশের কোরআনপ্রেমী জনতা” ভারতে মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদ ও নারী সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবিতে সাভারে হেফাজতের বিক্ষোভ আমরা একজোট হয়ে ভারতকে জবাব দেব: মাওলানা ফজলুর রহমান পটিয়ার সাবেক সিনিয়র উস্তাদ মাওলানা আব্দুল মান্নান দানিশের ইন্তেকাল নারী সংস্কার কমিশনের কিছু ধারা কোরআন-সুন্নাহর খেলাপ: জামায়াত আমির  ‘নারী সংস্কার কমিশনের উদ্দেশ্য ধর্মীয় ও পারিবারিক কাঠামো ধ্বংস করা’ ঐতিহাসিক দারোগা বাগানের ৩ একর জায়গা উদ্ধার করলেন বন বিভাগ  পেহেলগাম হত্যার তীব্র নিন্দা দারুল উলুম দেওবন্দের অবশেষে ভারতীয়দের ভিসা বাতিল করল পাকিস্তান হজযাত্রায় গ্রামীণফোন গ্রাহকদের জন্য সুখবর!

আসামে ‘বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত’ ৪৫০ মুসলমান পরিবার উচ্ছেদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি সংগৃহীত

ভারতের পশ্চিম আসামের গোয়ালপাড়া জেলার সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে ৪৫০ পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে এসব পরিবারকে ‘বেআইনি দখলদার’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) পত্রিকা অর্গানাইজার এ পরিবারগুলোকে ‘বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত মুসলমান পরিবার’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার তাদের উচ্ছেদ করা হয় বলে হিন্দুস্থান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে।

উচ্ছেদ হওয়া ৪৫০ পরিবারের সদস্যসংখ্যা দুই হাজার। উচ্ছেদের কারণে ৫৫-৬০ হেক্টর বনাঞ্চল খালি করা সম্ভব হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন সরকারি কর্মকর্তারা।

গোয়ালপাড়া জেলার লখিপুর রেঞ্জের বন্দরমাথা রিজার্ভ ফরেস্টের ১১৮ হেক্টরজুড়ে অভিযান চালিয়ে ৫৫-৬০ হেক্টর অঞ্চল থেকে দখলদারদের সরিয়ে দেওয়া হয় বলে জানান গোয়ালপাড়ার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা তেজস মারিস্বামী।

তেজস মারিস্বামী বলেন, গোয়ালপাড়ার সব সংরক্ষিত বনাঞ্চলকে দখলমুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন গুয়াহাটি হাইকোর্ট। ওই নির্দেশ অনুসারে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে। সারা দেশের মধ্যে গোয়ালপাড়ায় মানুষ ও হাতির সংঘাত সবচেয়ে বেশি। তিনি বলেন, এলাকাটি পরিষ্কার করার পর বনায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এলাকাটিকে হাতির বসবাসের উপযোগী করে তোলা হবে।

এই বন কর্মকর্তা বলেন, ‘গত সপ্তাহে আমরা পতাকা মিছিল করেছি। আমাদের সীমানা সম্পর্কে লোকজনকে অবহিত করেছি। তাঁদের সংরক্ষিত এলাকা থেকে সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধও করেছি।’

আরএসএসের পত্রিকা অর্গানাইজার এ বলা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে, তারা সবাই বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত। পত্রিকাটি বলছে, স্থানীয় মানুষ জানিয়েছেন, ইসলামপন্থীরা ২০০১ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে কংগ্রেস সরকারের আমলে সংরক্ষিত বনাঞ্চল দখল করেছিলেন।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ