মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫ ।। ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ ।। ২২ জিলকদ ১৪৪৬


রাগী মানুষের অসুখের ঝুঁকি বেশি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুহাম্মদ মিজানুর রহমান  

রাগ মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য্। কেউ এই রাগ নিযন্ত্রণে পটু, কেউ রাগ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়। কিন্তু অতিরিক্ত রাগ কখনোই মানুষের জন্য কল্যাণকর নয়। আমাদের সমাজে একটি কথা প্রচলিত আছে--রেগে গেলেনতো হেরে গেলেন। কতটা শত ভাগ সত্য। রাগ মানুষকে পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। ইসলাম ধর্মও রাগ নিয়ন্ত্রণের হুকুম করেছে। নবী (স.) বলেছেন, ‘যে রাগ দমন করতে পারে সেই হচ্ছে বড় পালোয়ান।’ রাগ শুধু আল্লাহর কাছে অপছন্দের তাই নয় অতিরিক্ত রাগ একজন মানুষের শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন সমস্যারও কারণ হতে পারে। তাই বলে রাগটাকে স্বভাব থেকে একেবারে ঝেড়ে ফেলবেন এমনটা নয়। বাগ আমাদের বেঁচে থাকার জন্যও প্রয়োজন।  

রাগ করলে বেড়ে যায় হৃদস্পন্দন

অতিরিক্ত রেগে গেলে মানুষের হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। রক্তচাপ বাড়লেই মানুষের হৃদস্পন্দন বাড়ে। রেগে গেলে দ্রুত হয়ে যায় শ্বাস-প্রশ্বাস।  তাই দেখা যায় নম্র মানুষটিও হঠাৎ রেগে গেলে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। তখন মুখের স্বাভাবিক চেহারায়ও আসে পরিবর্তন। মুখ লালচে হয়ে যায়, বেরিয়ে আসে শিরাও।  হাত-পা ঠান্ডা হয়ে সেটা বড় বিপদেরও কারণ হতে পারে। গড়াতে পারে স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাক পর্যন্ত।

কমে যায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

অনেকে রাগ করলে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। চিৎকার করতে থাকেন উম্মাদের মতো। গবেষণায় দেখা গেছে রেগে চিৎকার করে উঠলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থেমে যায় ৬ ঘন্টার জন্য। তাই যারা খুব সহজে রেগে যান তাদের অসুখ-বিসুখও বেশি হয়।

রাগ মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করে

রাগ করলে এক ধরনের স্ট্রেস রাসায়নিক উৎপন্ন হয়। রাগ, উত্তেজনায় এগুলো অনেক বেশি নিসৃত হয়। এরা অন্য হরমোনের কাজে বাধা দেয়। হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে। ফলে দেহের ইমিউন কোষগুলো ভালোভাবে কাজ করতে পারে না। ১ মিনিট রাগে যতটুকু স্ট্রেস হরমোন রক্তে মেশে, তার প্রভাব ৫ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকতে পারে। এ কারণে মাথাব্যথা, উদ্বেগ, অনিদ্রার মতো কিছু শারিরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

 

আরও কিছু শারিরীক মানসিক প্রভাব

যারা প্রায়শই রেগে যান তাদের মধ্যে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি অতিরিক্ত রাগের কারণে একজিমার মতো চর্মরোগও শরীরে বাসা বাঁধে। যারা ঘনঘন রাগ করেন তারা যেকোনো ঘটনার নেতিবাচক দিকটি আকড়ে ধরে থাকেন, তুচ্ছ কারণে দেখান অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া। তখন ইতিবাচক বিষয়ও কারণ হয় বিরক্তির।

রাগ থেকে কিভাবে বাঁচবেন

নবী (স.) আমাদের শিখিয়েছেন রাগ থেকে বাঁচার কৌশল। তিনি বলেছেন, কারও যদি রাগ উঠে সে দাঁড়ানো থাকলে যেন বসে যায়। বসা থাকলে যেন শুয়ে পড়ে। তারপরও যদি রাগ না কমে তাকে তিনি ওজু করার আদেশ দিয়েছেন।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ