প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরিস্থিতিতে উদ্ধার অভিযান সহজ করার জন্য তুরস্কের শীর্ষস্থানীয় প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলো জীবনরক্ষাকারী ড্রোন তৈরি করছে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মানুষকে উদ্ধারে মানববিহীন আকাশযানেরর ব্যবহার বৃদ্ধিতে এই উদ্যোগ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
সম্প্রতি ভিয়েতনামের কু জুট জেলার স্রেপক নদীতে বন্যায় আটকে পড়া এক ব্যক্তিকে ড্রোন ব্যবহার করে নিরাপদে উদ্ধার করার মতো এমন ঘটনা উদ্ধার অভিযানে ড্রোনের গুরুত্বকে আবারও সামনে এনেছে। বন্যা এবং কঠিন ভূখণ্ডগত পরিস্থিতির কারণে যখন প্রচলিত উদ্ধার পদ্ধতিগুলো ব্যর্থ হয়েছিল, তখন কৃষি কাজে ব্যবহৃত একটি ড্রোনই দুর্যোগে আটকে পড়া মানুষটির জীবন রক্ষাকারী হয়ে ওঠে। এই ড্রোনটি ১০০ কিলোগ্রাম (২২০ পাউন্ড) বহন ক্ষমতাসহ ওই ব্যক্তিকে প্রবেশযোগ্য স্থানে পৌঁছে দেয়, যেখান থেকে উদ্ধারকারী দল তাকে নিরাপদে পানি থেকে তুলে নেয়।
এই প্রেক্ষাপটে, তুরস্কের প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলোর তৈরি উচ্চ-ক্ষমতা সম্পন্ন কার্গো ড্রোনগুলোও অনুরূপ বৈশিষ্ট্য নিয়ে উদ্ধার অভিযানে ব্যবহারের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী। নেতৃস্থানীয় সংস্থাগুলো এমন সব সরঞ্জাম তৈরি করছে যা কঠিন দুর্যোগ পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলোর তৈরি এই উচ্চ-পেলোড, স্ব-নিয়ন্ত্রিত এবং আক্রমণ-সহনশীল ড্রোন ও কার্গোগুলো মূলত প্রতিরক্ষা শিল্পে ব্যবহৃত হলেও বন্যা, ভূমিকম্প এবং অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্যোগের সময় উদ্ধার ও মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে এদের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এই সিস্টেমগুলো দ্রুত এবং কার্যকর উদ্ধার অভিযানের মাধ্যমে মানুষের হতাহতের সংখ্যা এবং দুর্যোগের কারণে সৃষ্ট বস্তুগত প্রভাব হ্রাস করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে, একই সাথে উদ্ধারকারীদের বিপজ্জনক এলাকা থেকে দূরে রেখে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
এলএইস/