অস্ট্রেলিয়ার সিনেটর পলিন হ্যানসন বোরকা পরে পার্লামেন্টে উপস্থিত হওয়ায় ব্যাপক ক্ষোভের মুখে পড়েছেন। তাকে বোরকা খুলে আসতে বলা হলেও তিনি অস্বীকৃতি জানান, যার ফলে পার্লামেন্টের কার্যক্রম কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখতে হয়।
বিবিসি জানিয়েছে, অভিবাসনবিরোধী দল ওয়ান ন্যাশন থেকে কুইন্সল্যান্ডের নির্বাচিত সিনেটর পলিন হ্যানসন দ্বিতীয়বারের মতো পার্লামেন্টে বোরকা পরে হাজির হলেন। তিনি জনসমক্ষে বোরকা নিষিদ্ধ করার জন্য প্রস্তাবিত একটি বিল উত্থাপন করতে চাইছিলেন এবং এ বিষয়টি নিয়ে তিনি বহুদিন ধরেই প্রচারণা চালাচ্ছেন।
পলিন হ্যানসন বলেন, তার বিলটি সিনেট বাতিল করে দেওয়ার প্রতিবাদেই তিনি এ কাজ করেছেন। তার এই কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করেছেন অন্য সিনেটরেরা। একজন সিনেটর এটিকে স্পষ্ট বর্ণবাদ বলে মন্তব্য করেছেন।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) অন্যান্য আইনপ্রণেতারা যখন পলিনকে বিলটি উপস্থাপনা থেকে বিরত রাখেন, তখনই তিনি বেরিয়ে গিয়ে বোরকা পরে আবার পার্লামেন্টে হাজির হন। নিউ সাউথ ওয়েলসের মুসলিম গ্রিনস সিনেটর মেহরিন ফারুকি বলেন, তিনি একজন বর্ণবাদী সিনেটর এবং তার আচরণ স্পষ্ট বর্ণবাদ প্রদর্শন করছে।
পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার স্বতন্ত্র সিনেটর ফাতিমা পেইমান এই ঘটনাকে লজ্জাজনক বলে অভিহিত করেছেন। সরকারি দলের সিনেট নেতা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং ঘটনাটিকে অসম্মানজনক বলে নিন্দা করেন। তিনি আরও বলেন, পলিন অস্ট্রেলিয়ান সিনেটের হওয়ার যোগ্য নন এবং বোরকা না খোলায় তিনি পলিনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার প্রস্তাব দেন।
ফেসবুকে এক পোস্টে হ্যানসন লিখেছেন, যদি তারা না চায় আমি এটা পরি—তাহলে বোরকা নিষিদ্ধ করুক। এর আগে ২০১৭ সালেও তিনি সংসদে বোরকা পরে পার্লামেন্টে এসেছিলেন এবং তখনও দেশব্যাপী নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
সূত্র: বিবিসি
এনএইচ/