সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৭


মসজিদ লক্ষ্য করে হিন্দুত্ববাদীদের আক্রমণ, উত্তেজনায় হিমাচল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হিমাচল প্রদেশে পরপর দুটি মসজিদকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। শিমলার সানজাউলিতে জুমার নামাজে বাধা দেওয়ার ঘটনার পর এবার উনা জেলার একটি শতবর্ষী মসজিদকে কেন্দ্র করে নতুন করে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।

সানজাউলির ঘটনার কয়েক সপ্তাহ পর উনা জেলার দৌলতপুর চক, ওয়ার্ড–১–এ ওয়াকফ নিবন্ধিত জমিতে নির্মিত পুরোনো একটি মসজিদকে ঘিরে উত্তেজনা তীব্র হচ্ছে। সম্প্রতি মসজিদটিতে সামান্য সংস্কারকাজ চলছিল। কিন্তু স্থানীয় উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলো এটিকে ‘হুমকি’ বলে দাবী করে গ্রামবাসীদের উসকে দেয়। এরপর তারা ডেপুটি কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়ে নির্মাণকাজ পুরোপুরি বন্ধ করা এবং নামাজ বন্ধ করার দাবি জানায়।

প্রতিবাদে অংশ নেওয়া এক সদস্য দাবি করেন,
“গ্রামে কোনো মুসলিম নেই; আশপাশের এলাকা থেকে মুসলিমরা এখানে নামাজ পড়তে আসে। এটি ভবিষ্যতে সমস্যা তৈরি করতে পারে।”

তবে স্থানীয় হিন্দু বাসিন্দাদের বড় একটি অংশ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাদের ভাষায়—
“মসজিদটি ওয়াকফের জমিতে বৈধভাবে নির্মিত। এখানে মুসলিমরা নামাজ পড়তে এলে কখনো কোনো সমস্যা হয়নি। যারা বিতর্ক সৃষ্টি করছে তারা গ্রামের প্রতিনিধিত্ব করে না; বরং সম্প্রীতি নষ্ট করছে।”

এর আগে শিমলার সানজাউলি এলাকায় দেবভূমি সংঘর্ষ সমিতি—যা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) সঙ্গে যুক্ত—একটি পাঁচতলা মসজিদের প্রবেশদ্বার অবরোধ করে জুমার নামাজে বাধা দেয়। এতে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ছয়জন হিন্দু চরমপন্থীকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো: মাদন ঠাকুর, বিজয় শর্মা, কল্পনা শর্মা, শ্বেতা চৌহান, শিল্পি এবং পারুল।

ক্রমবর্ধমান এসব ঘটনার প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষকেরা বলছেন, মুসলিম জনসংখ্যা অত্যন্ত কম এমন অঞ্চলে এ ধরনের পদক্ষেপ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি করছে।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ