লেবাননের ইরান-সমর্থিত সংগঠন হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ইসরাইলের বিমান হামলায় তাদের চিফ অব স্টাফ হাইথাম আলী তাবাতাবাই নিহত হয়েছেন। এর আগে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রথমে দাবি করেন, বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে চালানো হামলায় তাবাতাবাইকে হত্যা করা হয়েছে। পরে হিজবুল্লাহও নিজেদের শীর্ষ নেতার নিহতের খবর নিশ্চিত করে।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, স্থানীয় সময় রোববার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চল ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই একটি আবাসিক এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। ধসে পড়ে ভবন, ক্ষতিগ্রস্ত হয় অসংখ্য যানবাহন। হামলার লক্ষ্য ছিল হিজবুল্লাহর চিফ অব স্টাফ—এ তথ্য প্রকাশ করেছে ইসরাইলি প্রশাসন।
ইসরাইলের বিমান হামলায় তাবাতাবাই ছাড়াও আরও কয়েকজন নিহত হয়েছেন এবং অনেকে আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন নেতানিয়াহু। হামলার পরপরই লেবানিজ সেনা, অ্যাম্বুলেন্স ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। আহতদের দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন এ হামলার নিন্দা জানিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইসরাইলের ওপর চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানান।
হামলা সফল হয়েছে উল্লেখ করে নেতানিয়াহু বলেন,
“হিজবুল্লাহর অস্ত্র সংগ্রহ ও জনবল বৃদ্ধির উদ্যোগের নেতৃত্ব দিচ্ছিল তাবাতাবাই। তাকে টার্গেট করতেই বিশেষ এই অভিযান।”
অন্যদিকে তাবাতাবাইয়ের নিহতের খবর নিশ্চিত করে হিজবুল্লাহ জানায়,
“ইসরাইল এই হামলার মাধ্যমে একটি গুরুতর সীমারেখা লঙ্ঘন করেছে।”
গত কয়েক মাসে দক্ষিণ বৈরুতে এটাই ইসরাইলের প্রথম বড় হামলা। এমন সময়ে এই ঘটনা ঘটল, যখন সম্প্রতি হিজবুল্লাহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও স্থাপনাকে লক্ষ্য করে ইসরাইলি হামলা বেড়েছে। হিজবুল্লাহর দাবি—যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও ইসরাইল অব্যাহত আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে, যা সীমান্তজুড়ে নতুন সংঘাতের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিচ্ছে।
এনএইচ/