বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫ ।। ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
গাজীপুরে কয়েল কারখানায় আগুন প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত নির্বাচন উৎসবমুখর করতে সেনাবাহিনীর সহায়তা দরকার: প্রধান উপদেষ্টা মাদ্রাসায় নারী শিক্ষার ওপর জোর দেওয়ার আহ্বান ধর্ম উপদেষ্টার ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ব্যতীত দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠন সম্ভব নয়: অধ্যাপক মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই ভারত সফরে আসছেন আফগান বাণিজ্যমন্ত্রী হাসিনার রায় ঘিরে বিজয় দিবসেও কোনো শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গণভোট আয়োজনের আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা পায়নি নির্বাচন কমিশন নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কমিশন ওয়াদাবদ্ধ: সিইসি বাংলাদেশি ৬ জেলেকে আরাকান আর্মির অপহরণ

পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই ভারত সফরে আসছেন আফগান বাণিজ্যমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তানের চিরশত্রু ভারত সফরে আসছেন আফগানিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী নুরুদ্দিন আজিজি। বুধবার ১৯ নভেম্বর নয়াদিল্লি পৌঁছানোর কথা রয়েছে তার।

ভারতের সরকারি কর্মকর্তারা সূত্রে জানা গেছে, ৫ দিনের সফরে নয়াদিল্লি আসছেন আফগানিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী। ভারত ও আফগানিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের আওতা আরও বৃদ্ধি করা এবং এ সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা এ সফরের প্রধান উদ্দেশ্য।

ভারতীয় সূত্রে জানা গেছে, এ সফরে ভারতের বাণিজ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন নুরুদ্দিন। সেই সঙ্গে দিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফেয়ারেও (আইআইটিএফ) অংশ নেবেন তিনি।

প্রসঙ্গত, আফগান পণ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার ভারত। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আফগানিস্তান থেকে যেসব পণ্য ভারত আমদানি করেছে, সেগুলো হলো— ডুমুর, হিং (একপ্রকার মসলা), কিশমিশ, আপেল, রসুন, জাফরান, মৌরি, অ্যালমন্ড বাদাম, অ্যাপ্রিকট (একপ্রকার ফল), পেঁয়াজ, বেদানা এবং কাঠবাদাম।

গত বহু দশক ধরে আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক অংশীদার ছিল পাকিস্তান। প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে আফগানিস্তানের বাৎসরিক বাণিজ্যের ভলিউম ১৭০ কোটি ডলারেরও বেশি। এই কিছুদিন আগ পর্যন্তও পাকিস্তান থেকে নিয়মিত কৃষিজ, জ্বালানি, ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য আমদানি করত আফগানিস্তান। পাকিস্তানও ফল, শাকসবজি, মসলা, গমসহ বিভিন্ন কৃষিজ ও খাদ্যপণ্য আমদানি করত আফগানিস্তান থেকে।

তবে পাকিস্তানের সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ রাজনৈতিক গোষ্ঠী তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-কে ঘিরে সম্প্রতি ব্যাপক তিক্ততা সৃষ্টি হয়েছে ইসলামাবাদ এবং কাবুলের মধ্যে। টিটিপির নেতা-কর্মীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়-অর্থ-প্রশিক্ষণ দিচ্ছে আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার— এমন অভিযোগ গত প্রায় ৪ বছর ধরে করে আসছে ইসলামাবাদ, তবে কাবুল বরাবরই এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

টিটিপিকে নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত ৯ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর সীমান্তে সংঘাতের পর প্রথমে কাতার এবং পরে তুরস্কে শান্তি সংলাপে বসেছিলেন পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সরকারি প্রতিনিধিরা। কিন্তু কোনো প্রকার সমঝোতাচুক্তি স্বাক্ষর ছাড়াই শেষ হয়েছে সেই সংলাপ।

এদিকে, সীমান্তে সংঘাতের শুরু থেকেই আফগানিস্তানের সঙ্গে যাবতীয় বাণিজ্য বন্ধ রেখেছে পাকিস্তান। স্থলবন্দর ও বাণিজ্যরুটগুলোও বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছে আফগানিস্তানের রপ্তানি খাত।

এই অবস্থায় পাকিস্তানি পণ্য ও বাণিজ্য রুটের ওপর নির্ভরতা কমাতে আফগান ব্যবসায়ীদের ৩ মাস সময় দিয়েছে তালেবান সরকার। আফগানিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী মোল্লা আবদুল গনি বারাদার গত ১২ নভেম্বর এক সংবাদসম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।

কাবুলে তার সেই সংবাদ সম্মেলনের ৬ দিনের মাথায় ভারতে আসছেন আফগানিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী। তার এই সফরের এক মাস আগে ভারতে ঘুরে গেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি।

সূত্র : ফার্স্টপোস্ট

এলএইস/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ