সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
ভারতের কাছে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হাসিনা-কামালকে ফেরত চাইল বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদ ও জুলুমের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক রায়: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ট্রাইব্যুনালের এই রায়কে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বললেন শেখ হাসিনা বিচারের মধ্য দিয়ে দল হিসেবে আ. লীগকে নিষিদ্ধ চায় জামায়াত ‘জজ সাহেব! ট্রাইব্যুনাল যেন চালু থাকে, হাসিনার বিচারও একদিন হবে’ নোয়াখালীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হাসিনাকে দেশে আনতে ভারতের কাছে আবারও চিঠি লিখব: আইন উপদেষ্টা মাওলানা ফজলুর রহমানের সঙ্গে ইবনে শাইখুল হাদিসের সৌজন্য সাক্ষাৎ এই রায় দেশে স্বৈরতন্ত্র রোধে মাইলফলক হয়ে থাকবে: ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব যে ৫ অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডের রায় হলো হাসিনার

পাকিস্তান সুযোগ দিলে আমরা দেখিয়ে দেব: হুঁশিয়ারি ভারতীয় সেনাপ্রধানের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

অপারেশন সিন্দুরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়েছেন ভারতের সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী
বলেছেন, অপারেশন সিন্দুর কেবল ট্রেলার ছিল এবং ভবিষ্যতে সুযোগ মিললে পাকিস্তানকে দায়িত্বশীল আচরণের শিক্ষা দেওয়া হবে।

তার মতে, পাকিস্তান যদি সুযোগ দেয়, আমরা দেখিয়ে দেব দায়িত্বশীল আচরণ বলতে আসলে কী বোঝায়। এমনকি আজকের যুদ্ধ একা লড়া যায় না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী সোমবার বলেন, দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা এবং সমন্বিত সামরিক শক্তি ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর মতো জবাব দেওয়ার সুযোগ দিয়েছে। তিনি এই অভিযানকে “৮৮ ঘণ্টার ট্রেলার” হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, ভবিষ্যতে একই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হলে পাকিস্তানকে “পড়শি দেশের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ কী হওয়া উচিত” তা শেখানো হবে।

নয়াদিল্লিতে ‘চাণক্য ডিফেন্স ডায়ালগস’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “অপারেশন সিন্দুর ছিল কেবল ট্রেলার মাত্র, যা ৮৮ ঘণ্টায় শেষ হয়েছে। ভবিষ্যতের যেকোনো পরিস্থিতির জন্য আমরা প্রস্তুত। পাকিস্তান যদি সুযোগ দেয়, আমরা দেখিয়ে দেব দায়িত্বশীল আচরণ বলতে কী বোঝায়।”

জেনারেল দ্বিবেদী জানান, এই অভিযানের অভিজ্ঞতা থেকে তিনটি বড় শিক্ষা পাওয়া গেছে। এগুলো হচ্ছে— বাহিনীগুলোর সমন্বয়, দীর্ঘমেয়াদি লড়াইয়ের জন্য পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ও রসদ নিশ্চিত করা এবং কমান্ড চেইনের প্রতিটি স্তরে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া।

তিনি বলেন, অতীতে প্রতিটি অভিযানের মতো এবারও সেখান থেকে নতুন শিক্ষা মিলেছে। আমরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় খুব কম পাই। সব স্তরে সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়।

ভারতীয় এই সেনাপ্রধান বলেন, বর্তমান সময়ে যুদ্ধ বহুমাত্রিক হয়ে গেছে, তাই শুধু সেনাবাহিনী নয়— নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, সিএপিএফসহ সব বাহিনীর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় প্রয়োজন। আজকের যুদ্ধ একা লড়া যায় না।

তিনি উল্লেখ করেন, লড়াই কত দীর্ঘ হবে তা আগে থেকে বলা যায় না। তার ভাষায়, “এবার ৮৮ ঘণ্টা লেগেছে, পরের বার চার মাসও লাগতে পারে, এমনকি চার বছরও। তাই আমাদের দেখতে হবে খাদ্য, অস্ত্র, গোলাবারুদ— এসব দীর্ঘমেয়াদে টিকিয়ে রাখার মতো মজুত আছে কি না।”

তিনি বলেন, “রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাসবাদ আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়। আমরা উন্নতির কথা বলি। কেউ বাধা দিলে আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা স্পষ্ট বলেছি— আলোচনা আর সন্ত্রাস একসঙ্গে চলতে পারে না। শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়া চাইলে আমরা সহযোগিতা করব; না হলে সন্ত্রাসী এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকদের একইভাবে দেখা হবে।”

এলএইস/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ