সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :

দুর্নীতির বিরুদ্ধে ফিলিপাইনের রাস্তায় নেমেছে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প এবং প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের মিত্রসহ শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি কেলেঙ্কারির জবাবদিহিতার দাবিতে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলার রাস্তায় নেমেছে হাজার হাজার মানুষ। বিক্ষোভকারীরা তিন দিনের সমাবেশ ডেকেছে। রোববার (১৬ নভেম্বর) থেকে এটি শুরু হয়েছে।
 
পুলিশ ধারনা করছে, দুপুরের আগে ম্যানিলার রিজাল পার্কে ইগলেসিয়া নি ক্রিস্টো বা চার্চ অফ ক্রাইস্টের ২৭ হাজার সদস্য জড়ো হন। বিক্ষোভকারীদের অনেকেই সাদা পোশাক পরে এবং দুর্নীতিবিরোধী প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেন।
 
মূলত দুর্নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভের সর্বশেষ প্রদর্শন হলো এই সমাবেশ। টাইফুনপ্রবণ দেশটিতে যেসব হাজার হাজার বন্যা প্রতিরক্ষা প্রকল্প হয়েছে, তা নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে তৈরি। কেবল তাই নয়, অনেক প্রকল্প কাগজে থাকলে এগুলোর কোনো অস্তিত্বই নেই।
 
চার্চের মুখপাত্র ব্রাদার এডউইন জাবালা বলেন, 'তিন দিনের এই সমাবেশের লক্ষ্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে; যেই দুর্নীতির সঙ্গে অনেক সরকারি কর্মকর্তাও জড়িত। এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে দেশবাসীর অনুভূতি ও কণ্ঠস্বর ইগলেসিয়া নি ক্রিস্টোর মাধ্যমে তুলে ধরা এর লক্ষ্য।'
 
ফিলিপাইনের জাতীয় পুলিশ জানিয়েছে, তারা নিরাপত্তার জন্য ১৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন করছে।
 
এই মাসের শুরুতে দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে সাম্প্রতিক ঝড়ের আঘাতে কমপক্ষে ২৫৯ জনের মৃত্যুর পর জনসাধারণের ক্ষোভ আবারও ছড়িয়ে পড়েছে।
 
প্রেসিডেন্ট মার্কোসের চাচাতো ভাই এবং সাবেক প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার মার্টিন রোমুয়াল্ডেজসহ অসংখ্য নেতা-কর্মকর্তারা বন্যা-বিরোধী প্রকল্পগুলোর জন্য মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন বলে এই বিক্ষোভ শুরু হয়।
 
অভিযুক্তদের মধ্যে মার্কোসের বিরোধী এবং তাদের সঙ্গে জোটবদ্ধ এমপিরাও রয়েছেন। রোমুয়াল্ডেজ ছাড়াও এদের মধ্যে রয়েছেন সিনেট প্রেসিডেন্ট চিজ এসকুডেরো এবং প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তের একজন গুরুত্বপূর্ণ মিত্র সিনেটর বং গো।
 
একটি তথ্য অনুসন্ধান কমিশন সিনেটর, কংগ্রেস সদস্য এবং ধনী ব্যবসায়ীসহ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করেছে। প্রায় ৯ বিলিয়ন পেসো (১৫৩ মিলিয়ন ডলার) কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে ৮৬ জন নির্মাণ কোম্পানির নির্বাহী এবং নয় জন সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
 
মার্কোস প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, এই কেলেঙ্কারিতে জড়িতদের বড়দিনের ছুটির আগেই কারাগারে পাঠানো হবে।
 
মার্কোস বলেছেন, প্রমাণের অভাবে তার চাচাতো ভাই এখনো ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হবেন না। তদন্ত থেকে কেউই ছাড় পাবেন না।
 
তিনি বলেন, 'আমরা লোক দেখানোর জন্য মামলা দায়ের করি না। আমরা মানুষকে জেলে ঢোকানোর জন্য মামলা দায়ের করি।'
এনইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ