পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ভারতের পরিচালিত অপারেশন সিন্দুর থেকে কার্যত কিছুই পাওয়া যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ভারত–পাকিস্তান সম্পর্ক স্বাভাবিক না হলে কোনো সমস্যারই সমাধান সম্ভব নয়। তাঁর বক্তব্য ঘিরে কাশ্মিরে নতুন করে রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে; বিজেপি তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীদের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগ তুলেছে। শনিবার রাতে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
জম্মু-কাশ্মির ন্যাশনাল কনফারেন্সের (জেকেএনসি) প্রধান ফারুক আবদুল্লাহ হরিয়ানায় আটক হওয়া সন্ত্রাসীদের প্রসঙ্গেও কথা বলেন। আটক ব্যক্তিরা পেশায় ডাক্তার ছিলেন উল্লেখ করে তিনি প্রশ্ন তোলেন— কেন তারা এমন পথে গেলেন? তাঁর বক্তব্য, “যারা দায়ী, তাদের জিজ্ঞেস করতে হবে কেন এসব ডাক্তারকে এই পথে যেতে হলো। এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও বিশদ বিশ্লেষণ জরুরি।”
ফারুক আশঙ্কা প্রকাশ করেন, হরিয়ানায় সন্ত্রাসী চক্র ভেঙে দেওয়ার ঘটনার পর আবারও ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তিনি বলেন, “আমি আশা করি এমনটা হবে না। অপারেশন সিন্দুর থেকে কিছুই পাওয়া যায়নি। আমাদের ১৮ জন মানুষ মারা গিয়েছিল, সীমান্ত দুর্বল হয়ে পড়েছিল। দুই দেশের সম্পর্ক ভালো না হলে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। বাজপেয়ী ঠিকই বলেছিলেন—বন্ধু বদলানো যায়, প্রতিবেশী নয়।”
এ ছাড়া গত শুক্রবার শ্রীনগরের একটি থানায় বিস্ফোরণে ৯ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, বিস্ফোরক সামগ্রী ঠিকমতো না সামলানোর কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। “যারা বিস্ফোরক সম্পর্কে জানে, তাদের পরামর্শ নেওয়া উচিত ছিল। আমরা ভুল করেছি—ফলাফল দেখছেন, ৯ জন মারা গেল, আশপাশের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হলো। অথচ দিল্লির ঘটনার জন্য কাশ্মিরিদের দোষারোপ করা হচ্ছে। কবে আমাদের ভারতীয় হিসেবে গ্রহণ করবে? কবে এসব অভিযোগ থামবে?”—মন্তব্য ফারুকের।
জবাবে বিজেপি নেতা তরুণ চুঘ বলেন, “সন্ত্রাসীদের জন্য চোখের পানি ফেলা ওদের পুরোনো অভ্যাস। ফারুক আবদুল্লাহ এখনই সন্ত্রাসীদের পক্ষ নেওয়া বন্ধ করুন।”
শ্রীনগরের নওগাম থানায় বিস্ফোরণ নিয়ে জম্মু-কাশ্মির পুলিশের ডিজি নলিন প্রভাত জানান, ফরেনসিক নিয়ম মেনে বিস্ফোরক পরীক্ষা চলার সময়ই দুর্ঘটনা ঘটে। তাই এ নিয়ে অযথা জল্পনার প্রয়োজন নেই।
এনএইচ/