ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা থেকে পালিয়ে আসা ১৭০ জন ফিলিস্তিনি শরণার্থী দক্ষিণ আফ্রিকায় আশ্রয় নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) নাইরোবি হয়ে একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে জোহানেসবার্গের ও আর থাম্বো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তারা।
দেশটির বৃহৎ দাতব্য সংস্থা গিফট অব দ্য গিভারস-এর সহযোগিতায় দক্ষিণ আফ্রিকায় আসে ১৭০ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক। তবে বৈধ পারমিট না থাকায় শুরুতে তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আইনগত প্রক্রিয়ার কারণে দিনভর তাদের বিমানের ভেতরেই অবস্থান করতে হয়।
পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও হোম এফেয়ার্স মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় অবশেষে তাদেরকে ঢুকতে দেওয়া হয়। রাতে সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। বলা হয়, তারা সবাই শরণার্থী হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকবেন; পাবেন এসাইলাম।
গাজায় গণহত্যার শিকার হয়ে পালিয়ে আসা ফিলিস্তিনিদের দক্ষিণ আফ্রিকায় পরিবহণের জন্য এটি দ্বিতীয় বিমান। এর আগে, প্রথম বিমানটি গত মাসের শেষের দিকে ১৭৬ জন ফিলিস্তিনিকে নিয়ে ওআর ট্যাম্বো বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
সিভিল সোসাইটি অ্যাকশন গ্রুপের স্থানীয় মুখপাত্র নাঈম জিনা গাজা থেকে সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় আসা ১৭৬ জন ফিলিস্তিনি শরণার্থীর স্থানান্তরের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের থাকার জন্য জোহানেসবার্গের আশেপাশের গেস্টহাউস এবং হোটেলগুলোতে বুকিং দেওয়া হয় সাত দিনের জন্য এবং এটিই শেষ। তারপরে এই সংস্থার কাছ থেকে তাদের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে।
এদিকে স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন ও মুসলিম সম্প্রদায় তাদের তাৎক্ষণিক খাদ্য, আশ্রয় ও চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছে।
শরণার্থী নীতি ও মানবিক ভূমিকায় দক্ষিণ আফ্রিকা একটি নতুন অধ্যায় খুলে দিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও হোম এফেয়ার্স মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন গিফট অব দ্য গিভারস-এর প্রধান ড. ইমতিয়াজ সুলাইমান।
এনএইচ/