আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশে নারীদের জন্য নতুন পোশাকবিধি কার্যকর করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সরকারের দাবি—এই সিদ্ধান্ত নারীদের ইসলামী শালীনতা, সামাজিক নিরাপত্তা এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ রক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে।
হেরাতের স্বাস্থ্যবিভাগের মুখপাত্র জানান,
“আমরা চাই নারীরা নিরাপদ পরিবেশে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করুন। ইসলামী শরিয়াহ ও সাংস্কৃতিক নিয়ম অনুসারে নারীদের বোরকা পরিধান করা বাধ্যতামূলক—এটি তাদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা বজায় রাখে।”
প্রশাসনের মতে: বোরকা বা পূর্ণ হিজাব পরিধান ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পরিচয়ের প্রতীক। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পুরুষ ও নারী উভয়ের উপস্থিতি থাকে, তাই নারীর গোপনীয়তা রক্ষা করা জরুরি। “বোরকা বিধান” স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ করার উদ্দেশ্যে নয়, বরং ইসলামী নীতি মেনে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য।
সরকারি কর্মকর্তারা বলেন,
“ইসলামী সমাজে শালীনতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। আমরা নারীদের চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছি না, বরং নিশ্চিত করছি যেন তা শরিয়াহ অনুযায়ী হয়।”
তারা আরও যোগ করেন যে—
স্বাস্থ্যকর্মীরা নারীদের আলাদা সার্ভিস সেকশন তৈরি করছেন, যাতে পুরুষ চিকিৎসকদের সংস্পর্শ ছাড়াই চিকিৎসা দেওয়া যায়। বোরকা পরিধান একটি নিরাপত্তা নির্দেশনা, যা হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সাহায্য করছে। যারা বোরকা পরছেন না, তাদের হাসপাতালের প্রবেশের আগে বোরকা সরবরাহের উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে।
দেশের রক্ষণশীল অংশ ও ধর্মীয় আলেমরা সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন।
একজন স্থানীয় ইমাম বলেন,
“বোরকা আমাদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ। এটি নারীদের মর্যাদা বাড়ায়, কমায় না। সরকার ইসলামী মূল্যবোধ সংরক্ষণের জন্য সঠিক কাজ করেছে।”
আফগান প্রশাসনের মতে, এই নিয়ম কোনোভাবে নারীদের স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত করছে না, বরং সমাজে নৈতিকতা, শালীনতা ও ধর্মীয় নিরাপত্তা বজায় রাখছে। সরকার বলেছে,
“আমরা ইসলামী শরিয়াহর আলোকে নারীদের অধিকার রক্ষা করতে চাই। চিকিৎসা, শিক্ষা, ও কর্মক্ষেত্র—সব জায়গায়ই নারীরা অংশ নিতে পারবেন, তবে ইসলামি পরিধানবিধি মেনে।”
এনএইচ/