মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২৬ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭


ইসরাইল নীতিতে শর্তে অনড় সউদী আরব

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

যুক্তরাষ্ট্র ও সউদী আরবের মধ্যে এ মাসে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, যেখানে সউদী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস) আগামী ১৮ নভেম্বর হোয়াইট হাউজে যাচ্ছেন। বৈঠকের মূল লক্ষ্য হলো প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং বিনিয়োগের বিষয়গুলো এগিয়ে নেওয়া। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরাইলের সঙ্গে সউদী আরবের সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের আশা প্রকাশ করলেও, সউদী আরব এই পদক্ষেপ নিতে চায় কেবল তখনই, যদি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য একটি নির্দিষ্ট রূপরেখা থাকে।

এই বৈঠকটি হচ্ছে সউদী যুবরাজের প্রথম ওয়াশিংটন সফর ২০১৮ সালে সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকা-ের পর। ট্রাম্প আশা করছেন, সউদী আরব শিগগিরই আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেবে, যা ইতিমধ্যেই সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মরক্কোতে কার্যকর হয়েছে। তবে সউদী কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট করে জানিয়েছে, তারা ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেবে শুধুমাত্র একটি বিশ্বাসযোগ্য ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার রূপরেখা থাকলে। দশকের পর দশক বৈরিতার পর সউদী আরব ও ইসরাইলের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন হলে তা মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা ভারসাম্যে বড় পরিবর্তন আনতে পারে এবং এতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব আরও জোরদার হতে পারে। সউদী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনীর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রত্যাহার, আন্তর্জাতিক সুরক্ষা বাহিনী মোতায়েন এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্ত।

উপসাগরীয় ও পশ্চিমা কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, ট্রাম্প-এমবিএস বৈঠক মূলত প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ও বিনিয়োগকে কেন্দ্র করে হবে। বৈঠকে একটি সীমিত প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর হবে, যা ভবিষ্যতে পূর্ণাঙ্গ চুক্তিতে রূপান্তর করার সুযোগ রাখবে। এতে প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়বে এবং মার্কিন সামরিক উপস্থিতি উপসাগরে আরও দৃঢ় হবে। চুক্তিতে সউদী আরবের চীন-সউদী সামরিক সম্পর্ক সীমিত রাখার শর্ত রাখা হয়েছে। যৌথ সামরিক মহড়া, মার্কিন-সউদী প্রতিরক্ষা শিল্প সহযোগিতা এবং সউদী আরবে অস্ত্র বিক্রির দ্রুত প্রক্রিয়া এতে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

সউদী যুবরাজ এমবিএস হোয়াইট হাউজে বৈঠকে ট্রাম্পকে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আরও স্পষ্ট সমর্থন নিশ্চিত করার চেষ্টা করবেন। সউদী আরবের জন্য এটি কেবল কূটনৈতিক পদক্ষেপ নয়, এটি জাতীয় নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক সংবেদনশীলতার বিষয়। ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার শর্ত ছাড়াই সউদী-ইসরাইল সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ট্রাম্পের আশা থাকলেও, সউদী আরব স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছে যে, ইসরাইল স্বীকৃতি এবং আঞ্চলিক সংহতি প্রতিষ্ঠার জন্য ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন অপরিহার্য। সূত্র : রয়টার্স।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ