বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫ ।। ৪ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২৬ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি কি ইসলামপন্থীদের আস্থা হারাচ্ছে?  নোয়াখালীতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৩০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা গণতন্ত্রকামী দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হলে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসন হবে: তারেক রহমান ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী ৬৫৮ জন, হল সংসদে ১ হাজার ৪২৭ মাইলস্টোনের তিন শিক্ষক জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন জুমার নামাজে না গেলে দুই বছরের দণ্ড হতে পারে  রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নির্বাচন জরুরি: মির্জা ফখরুল সৌদি আরবে নতুন হজ কাউন্সেলর কামরুল ইসলাম তাওয়াফের সময় হাজরে আসওয়াদের সামনে দাঁড়িয়ে না থাকার নির্দেশ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ১০০০ বৃক্ষরোপণ

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে ‘নতুন প্রস্তাব’ পেল হামাস

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

গাজায় সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কায়রোতে অবস্থানরত হামাস প্রতিনিধিদলের কাছে একটি নতুন প্রস্তাব পৌঁছেছে। প্রস্তাবটিতে প্রাথমিকভাবে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি দুই ধাপে জিম্মি বিনিময়ের পরিকল্পনা রাখা হয়েছে।

এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা এএফপিকে জানান, এ প্রস্তাবটি একটি কাঠামোগত চুক্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু করতে সহায়তা করবে। গোপনীয়তার শর্তে তিনি বলেন, “মধ্যস্থতাকারীদের দেওয়া এ প্রস্তাব পর্যালোচনার জন্য হামাস তাদের শীর্ষ নেতৃত্ব ও অন্যান্য ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর সঙ্গে পরামর্শ করবে।”

হামাস এর আগে জানায়, তাদের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল কায়রোতে অবস্থান করছে। তারা গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে মিসরীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছে। ইসরায়েল-গাজার এই যুদ্ধ ইতোমধ্যে ২৩তম মাসে গড়িয়েছে।

এই সংকট নিরসনে কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসর যৌথভাবে মধ্যস্থতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কাতারের প্রধানমন্ত্রীও বর্তমানে মিসরে অবস্থান করছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ওই ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা। তিনি জানান, যুদ্ধবিরতির জন্য কাতারও চাপ বাড়াচ্ছে।

মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তি সোমবার গাজার রাফাহ সীমান্ত পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, “আমরা যখন কথা বলছি, তখন ফিলিস্তিনি ও কাতারি প্রতিনিধি দল মিসরে অবস্থান করছে এবং পদ্ধতিগত হত্যাকাণ্ড ও অনাহার বন্ধে তাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।”

গত সপ্তাহে আবদেলাত্তি জানান, কায়রো কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির একটি চুক্তি বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। এর আওতায় কিছু ইসরায়েলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং গাজায় বাধাহীনভাবে মানবিক ও চিকিৎসা সহায়তা প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

তবে গত মাসে কাতারের রাজধানী দোহায় টানা দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে আলোচনা চললেও যুদ্ধবিরতি বিষয়ে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি।

সূত্র: এএফপি

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ