শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১৫ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
৪০ সেকেন্ডের ঝটিকা মিছিল শেষে কারাগারে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ১২ নেতাকর্মী ‘যথেষ্ট সফলতা আছে, তবে ১৫ বছরের জঞ্জাল ১৫ মাসে পরিষ্কার করা যায় না’ ব্যাংকগুলোতে ক্যাশ নেই, চরম ভোগান্তিতে গাজার মানুষ বাধ্যতামূলক সেনা নিয়োগের বিরুদ্ধে ইসরাইলে ব্যাপক বিক্ষোভ শ্রমিকবান্ধব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে : মাওঃ আব্দুল আউয়াল দেশের সর্ববৃহৎ সিরাত প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত ‘যারা ভোটের জন্য বেহেশতের টিকিটের কথা বলে বেড়ায় তাদের থেকে সাবধান’ ঝটিকা মিছিল করতে গিয়ে গ্রেপ্তার আ.লীগের তিন হাজার নেতাকর্মী ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে মহাসড়কে নামাজ আদায় নভেম্বর থেকে নতুন পোশাক পাচ্ছে মহানগর পুলিশ

আসামে মুসলিম উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য আসামে মুসলিমদের টার্গেট করে উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রেখেছে উগ্রবাদী বিজেপি সরকার। আসামের বিশ্বনাথ জেলায় গত রোববার থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে ৩০৯টি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইর খবর অনুসারে, উচ্ছেদ হওয়া পরিবারগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই বাংলাভাষী মুসলিম। 

বিশ্বনাথের জাপারিগুড়ির ভিলেজ গ্রেজিং রিজার্ভের (ভিজিআর) প্রায় ১৭৫ বিঘা জমি বেআইনিভাবে দখল করা হয়েছিল বলে অভিযোগ সরকারি কর্মকর্তাদের। জেলা প্রশাসক সীমান্তকুমার দাস জানান, ৩০৯টি পরিবার ওই ১৭৫ বিঘা জমি দখল করে রেখেছিল। ১ আগস্ট তাদের নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। বলা হয়েছিল ১৫ দিনের মধ্যে এলাকা খালি করে দেওয়ার জন্য। রোববার শান্তিপূর্ণভাবেই গোটা প্রক্রিয়া চলেছে বলে দাবি জেলা শাসকের। 

আরেক কর্মকর্তা জানান, জমি দখল করে যারা ওই এলাকায় বাস করছিলেন, তাদের বেশির ভাগই বাংলাভাষী মুসলিম জনগোষ্ঠীর। রোববার বিশ্বনাথ জেলার ওই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন অল অসম মাইনরিটি স্টুডেন্টস ইউনিয়নের (এএএমএসইউ) সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আলি সরকার। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের সমালোচনা করেন তিনি। সাধারণ মানুষকে অমানবিকভাবে উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। কুদ্দুসের দাবি, যথাযথ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে কাউকে উচ্ছেদ করা যাবে না। 

এদিকে সরকারি জমির ওপর দখল উচ্ছেদে রাজ্য সরকারের পদক্ষেপে সমর্থন জানিয়েছে বেশ কয়েকটি জাতিগত সংগঠন। তারা রাজ্যে ‘মিঞা খেদা আন্দোলন’ (মিয়াদের তাড়ানোর আন্দোলন) শুরু করেছে।  ‘মিঞা’ মূলত আসামের বাংলাভাষী মুসলমানদের জন্য ব্যবহৃত একটি অবমাননাকর শব্দ এবং অবাঙালি ভাষাভাষী লোকেরা সাধারণত তাদের বিদেশি অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত করে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সম্প্রদায়ের কর্মীরা এই শব্দটিকে অবাধ্যতার ইঙ্গিত হিসেবে গ্রহণ করতে শুরু করেছেন। স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছিলেন, ‘আগ্রাসন’ নিম্ন ও মধ্য আসামের জনসংখ্যার পরিবর্তন করেছে এবং উত্তর আসামেও এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে। তিনি তাঁর বক্তব্যে স্পষ্টতই মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি ইঙ্গিত করেছিলেন।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ