বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ১০ পৌষ ১৪৩২ ।। ৫ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামপন্থীদের ‘একবাক্স নীতি’ কি মুখ থুবড়ে পড়ছে? শহীদ হাদির আদর্শ সামনে রেখে মিশরে 'আজহার আফকার'র যাত্রা আবারও বাংলাদেশি সন্দেহে ভারতে মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা তারেক রহমানের দেশে ফেরা গণতান্ত্রিক সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ অর্জন: হাসনাত ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের এভারকেয়ার থেকে গুলশানের বাসার উদ্দেশে তারেক রহমান সাহিত্য সভায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন কবি ও লেখক মোহাম্মদ কুতুবউদ্দিন মহানবী (সা.)-এর ন্যায়পরায়ণতার আলোকে দেশ পরিচালনা করবো: তারেক রহমান ১ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়ে যা বললেন পীর সাহেব চরমোনাই

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি যুক্তরাজ্যের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

গাজায় মানবিক সংকট চলতে থাকলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাজ্য। মঙ্গলবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির বৈঠকে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি এ হুঁশিয়ারি দেন।

ল্যামি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সহায়তায় গঠিত ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’ (জিএফএইচ) কার্যকরভাবে ত্রাণ পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে। “আমরা এই ফাউন্ডেশনকে সমর্থন করি না—এটি সঠিকভাবে কাজ করছে না। এখনো অনেক মানুষ অনাহারে ভুগছেন, অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন,” বলেন তিনি।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত কয়েক সপ্তাহে জিএফএইচ-এর সহায়তা নিতে গিয়ে অনেক ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।

বৈঠকে এক এমপির প্রশ্নের জবাবে ল্যামি স্পষ্টভাবে জানান, “গাজায় সংকট যদি চলতেই থাকে, তাহলে আমরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।”

এর আগে যুক্তরাজ্য অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড ও নরওয়ের সঙ্গে মিলে ইসরায়েলি দুই মন্ত্রী—ইতামার বেন-গভির ও বেজালেল স্মোটরিচের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তাদের বিরুদ্ধে পশ্চিম তীরে সহিংসতা উসকে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া, গাজা অবরোধকে কেন্দ্র করে যুক্তরাজ্য ইসরায়েলের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা স্থগিত করে এবং অস্ত্র রপ্তানির কিছু অংশও বন্ধ রাখে।

তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, যুক্তরাজ্যের এসব পদক্ষেপ এখনো মূলত প্রতীকী, এবং ইসরায়েলের ওপর কার্যকর চাপ তৈরিতে যথেষ্ট নয়।

ল্যামি স্বীকার করেন, পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে এবং যুক্তরাজ্যের চাপের ফলে ইসরায়েলের আচরণে এখনো ‘অপর্যাপ্ত’ পরিবর্তন এসেছে। তবু তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমাদের অবস্থান ইউরোপ বা জি-৭-এর অন্য দেশের তুলনায় অনেক দৃঢ়।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা হয়তো এককভাবে পুরো পরিস্থিতি পাল্টে দিতে পারি না, কিন্তু আমাদের পদক্ষেপের সঙ্গে তুলনীয় কিছু নেই।”

প্রসঙ্গত, যুক্তরাজ্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য এবং ইসরায়েলের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার। গাজায় আটক ইসরায়েলিদের অবস্থান শনাক্তে ব্রিটিশ রয়্যাল এয়ার ফোর্স নজরদারি মিশন পরিচালনা করেছে।

অন্যদিকে, নিজ দেশেও যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিনি অধিকারকর্মীদের ওপর চাপ বৃদ্ধি করেছে। সম্প্রতি ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ নামের একটি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং বহু কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গাজায় চলমান পরিস্থিতি ও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি প্রসঙ্গে ল্যামি বলেন, যুক্তরাজ্য একতরফাভাবে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দিতে চায় না। “আমরা চাই স্বীকৃতি তখনই আসুক, যখন তা বাস্তব সমাধানে সহায়ক হবে।”

তবে পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির চেয়ার এমিলি থর্নবেরি এর বিরোধিতা করে বলেন, “বর্তমান দখলদারি ও বসতি সম্প্রসারণের প্রেক্ষাপটে যদি যুক্তরাজ্য আরও অপেক্ষা করে, তাহলে স্বীকৃতি দেওয়ার মতো কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না।”

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “এখনই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়ে রাষ্ট্র গঠনের ভিত্তি তৈরি করা দরকার। না হলে এই সুযোগ হারিয়ে যাবে।”

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ