|| নুর আলম সিদ্দিকী ||
এবার বন্ধ হয়ে যেতে পারে উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের অনলাইনে ফতোয়া পরিষেবা এবং ফতোয়া বিষয়ক ওয়েবসাইট।
জানা যায়, দারুল উলুম দেওবন্দের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক মজলিসে শুরার ( নির্বাহী কমিটি ) বৈঠক ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। চলবে ১ মার্চ পর্যন্ত।
বৈঠকে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন কর্তৃক গাজওয়ায়ে হিন্দ ইস্যুটি উত্থাপনের বিষয়ে মজলিসে শুরা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে। একই সঙ্গে দারুল উলুম দেওবন্দের অনলাইনে ফতোয়া বিষয়ক ওয়েবসাইট বন্ধ করার কথাও ভাবা হচ্ছে।
মজলিসে শুরাতেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো সর্বসম্মত মতামত পাওয়া যায়নি।
শুরার উন্নয়ন বিভাগের উপ-পরিচালক আশরাফ উসমানী জানান, বৈঠকে শিক্ষা বিভাগ, শিশুদের জীবনযাপন ও শিক্ষকসহ শিক্ষা বিভাগের বিভিন্ন দিক বিবেচনা করা হবে।
তিনি আরো জানান, একই সঙ্গে বিতর্কের পর দারুল উলুম দেওবন্দের ফতোয়া বিষয়ক ওয়েবসাইট বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে কর্তৃপক্ষ। ম্যানেজমেন্টও ধারাবাহিকভাবে ভাবছে। তবে এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এমতাবস্থায় দারুল উলুম দেওবন্দের মজলিসে শুরা ঐকমত্য হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আশরাফ উসমানী বলেন, দারুল উলুমের ওয়েবসাইট প্রতি মাসে ভারত ও বিদেশের দুই কোটি মানুষ ভিজিট করেন।
দারুল উলুম দেওবন্দের দারুল ইফতা ( ফতোয়া বিভাগ ) ইতিমধ্যে এক লাখের বেশি ফতোয়া দিয়েছে। ২০০৮ সালের পর ফতোয়া বিভাগ অনলাইনে যাওয়ার পর ৪০ হাজারের বেশি ফতোয়া দেওয়া হয়েছে। প্রশ্নকারী ইসলামি শরীয়াহ অনুসরণ করে প্রশ্ন করেন এবং ফতোয়া বিভাগ ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী উত্তর দেন।
দারুল উলুমের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ে গৃহীত ফতোয়াগুলির পৃথক বিভাগ ক্যাটাগরি ) তৈরি করা হয়েছে। ওয়েবসাইটটি সহজে ব্যবহারের জন্য ইংরেজি, হিন্দি ও উর্দু ভাষায়ও ফতোয়া পোস্ট করা হয়েছে। ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ভাষায় কিতাবাদিও আপলোড করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দারুল উলুম দেওবন্দের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোন মামলায় কোন রিপোর্ট নথিভুক্ত হয়নি। সাহারানপুরের এসএসপি বলেছেন যে, এই বিষয়ে এসডিএম এবং সিও’র একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের প্রতিবেদন এখনো হাতে পায়নি। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র: দেওবন্দ টাইমস
এনএ/