মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠা ছাড়া দুর্নীতি নির্মূল করা সম্ভব নয় : মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বিএনপির সঙ্গে জোট করার বিষয়ে যা বললেন রাশেদ খাঁন মহাসড়কে পড়ে ছিল নৌবাহিনী সদস্যের মরদেহ জামিন পাননি বাউল শিল্পী আবুল সরকার, শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ‘দীনি শিক্ষাব্যবস্থায় গুণগত মানের ঘাটতি উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে’ আলোকিত সমাজ গড়তে শিক্ষকদের জন্য উন্নত কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই : মাসুদ সাঈদী এবার লাখো কণ্ঠে কোরআন তেলাওয়াত আয়োজনের ঘোষণা হুমায়ুনের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৯০ টন পেঁয়াজ আমদানি মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তার সঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের বৈঠক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে আইনি নোটিশ

গাজার যুদ্ধোত্তর পরিকল্পনায় যা বলল নেতানিয়াহু

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

যুদ্ধ-পরবর্তী গাজার পরিস্থিতি কেমন হবে সে বিষয়ে প্রথমবারের মতো নিজেদের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে দখলদার ইসরায়েল।

বৃহস্পতিবার সরকারি এ পরিকল্পনা পেশ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। প্রকাশিত পরিকল্পনায় গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর যেকোনও পদক্ষেপের ‘দায়মুক্তি’ ঘোষণা করা হয়েছে।

টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, ইসরায়েল পন্থী বা গাজায় হামাসের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে না এমন ফিলিস্তিনি প্রশাসন দ্বারা গাজায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করবে ইসরায়েল। এছাড়া অনির্দিষ্টকালের জন্য গাজায় নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হয়েছে নেতানিয়াহুর পরিকল্পনায়।

গাজার নিজেদের দখল বলবৎ রাখতে এই পরিকল্পনা নিয়েছেন নেতানিয়াহুর সরকার। এমনটিই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। 

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মন্ত্রিসভায় নেতানিয়াহু যে পরিকল্পনা পেশ করেছেন তাতে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরেও গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের উপস্থিতির কথা জানানো হয়েছে।

মন্ত্রিসভায় উত্থাপিত ওই পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের সীমান্তে নিরাপত্তা বাফার জোন মোতায়েন করবে ইসরায়েল। যার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে তাদের হাতে। এই বাফার জোনটি অনির্দিষ্টকালের জন্য মোতায়েন করা হবে বলে গণমাধ্যমটি জানিয়েছে।

সিএনএন জানিয়েছে, পরিকল্পনার আওতায় ইসরাইল জর্ডানের পশ্চিমে পুরো এলাকার স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখবে।

এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে গাজায় জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার সহায়তা কার্যক্রম বন্ধ হতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া পরিকল্পনাটি যদি কোনও ধরনের আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ ছাড়াই অনুমোদন পায় তাহলে ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগ আরও বাড়তে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের আকাশ ও স্থল হামলায় বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা। এছাড়া এদের বেশির ভাগই প্রতিদিন খাবার পানি এবং খাদ্যের তীব্র সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে। 

অন্যদিকে তেল আবিবের অবরোধে বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের তীব্র সংকটে পড়েছে গাজার হাসপাতালগুলো। গতকাল নাসের হাসপাতালের চিকিৎসকের বরাতে আনাদোলু জানিয়েছে, সেখানে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতা এবং পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাবে অন্তত ৭ জন রোগী প্রাণ হারিয়েছেন। গাজার প্রায় ৬০ শতাংশ ঘরবাড়ি প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, আনাদোলু এজেন্সি

এনএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ