সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ১৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৭


মোসাদের সদর দপ্তরে ইরানের হামলায় ৩৬ জন নিহত হয়েছিল: তেহরান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইসরায়েলের সঙ্গে সাম্প্রতিক যুদ্ধে মোসাদের সদর দপ্তরে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৩৬ জন নিহত হয়েছিল। গতকাল রবিবার (৭ ডিসেম্বর) ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ডস কর্পসের (আইআরজিসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী-মোহাম্মদ নায়েনি এই দাবি করেন।

টানা ১২ দিনের যুদ্ধে ইসরায়েলজুড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কতটা ভয়াবহ, তা তেমনভাবে এখনও সামনে আসেনি। ইসরায়েলি সরকার ক্ষয়ক্ষতির তথ্য প্রকাশে গণমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছিল। সামরিক বাহিনী ক্ষয়ক্ষতির যেসব চিত্র দেখিয়েছে, মূলত সেসবই সামনে এসেছে।

আইআরজিসির মুখপাত্র বলেন, তেহরানের একটি জ্বালানি ডিপোতে ইসরায়েলের হামলার পর, পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে দুটি পৃথক হামলায় দখলদারদের হাইফা শোধনাগারে হামলা চালায় ইরান। এর ফলে এই স্থাপনাটি বন্ধ হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল ইরানের একটি গোয়েন্দা কেন্দ্রে হামলা চালানোর পর, ইরান মোসাদের একটি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে প্রতিক্রিয়া জানায়। এতে শত্রুদের ৩৬ জন নিহত হয়।

নাইনি বলেন, ইরানের 'ট্রু প্রমিজ ৩' অভিযান সংঘাত শুরু হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই শুরু হয়েছিল। এটিকে ইলেকট্রনিক যুদ্ধ, সাইবার অভিযান, ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনের সমন্বয়ে একটি বহুস্তরীয় এবং উদ্ভাবনী অভিযান হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইরান পূর্ণ গোয়েন্দা আধিপত্য এবং একটি বিস্তৃত ডেটা-ব্যাংক নিয়ে সংঘাতে প্রবেশ করেছে।

নাইনি বলেন, ইসরায়েল এই অঞ্চলে মার্কিন সম্পদের সহায়তায় তাদের সম্পূর্ণ বিমান প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেছে, কিন্তু তবুও ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র থামাতে ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সংঘাতের সময় ইরান ৪০০-৫০০টি সাইবার আক্রমণের মুখোমুখি হয়েছিল এবং নিজস্ব সাইবার অভিযান পরিচালনা করেছিল। নাইনির মতে, সাইবার এবং গোয়েন্দা যুদ্ধের অনেক দিক প্রকাশ্যে প্রকাশ করা যায় না।

প্রসঙ্গত, ওয়াশিংটন এবং তেহরানের মধ্যে পারমাণবিক আলোচনার প্রক্রিয়া চলাকালীন ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসন শুরু করে। ইসরায়েলি আক্রমণের ফলে ১২ দিনের যুদ্ধ শুরু হয়, যার ফলে দেশটিতে কমপক্ষে ১ হাজার ৬৪ জন নিহত হয়, যাদের মধ্যে সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং সাধারণ বেসামরিক নাগরিকও ছিলেন।

এরপর আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন করে তিনটি ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও যুদ্ধে প্রবেশ করে।

জবাবে ইরানি সশস্ত্র বাহিনী দখলকৃত অঞ্চলজুড়ে কৌশলগত স্থানগুলোর পাশাপাশি পশ্চিম এশিয়ার বৃহত্তম আমেরিকান সামরিক ঘাঁটি কাতারের আল-উদেইদে হামলা চালায়। এই হামলার পর ২৪ জুন থেকে দখলদারদের আগ্রাসন বন্ধ হয়।

এলএইস/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ