সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৩ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
ওমরায় গেলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ইসলামী আন্দোলন ক্ষমতায় গেলে এক টাকাও লুটপাট হবে না: শায়খে চরমোনাই কোরআন অবমাননার দায় স্বীকার সেই অপূর্ব পালের জামায়াত-ইসলামী আন্দোলনসহ সমমনা দলগুলোর কর্মসূচি ঘোষণা তুরস্কে স্কলারশিপ পেলেন ৫ শিক্ষার্থী, এমবিএম ফাউন্ডেশনের সংবর্ধনা পাকিস্তানের শীর্ষ আলেম মাওলানা ফজলুর রহমান সিলেটে আসছেন ১৭ নভেম্বর জামায়াতের নির্বাচনি সভা ভণ্ডুল করে দিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা মিথ্যা মামলায় দুই মাদরাসা শিক্ষককে হয়রানি, মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন চাঁদা না পেয়ে মসজিদের ইমামকে মারধর, স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি ৫ দফা দাবিতে আন্দোলনরত দলসমূহের যৌথ সংবাদ সম্মেলন

ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজা বসবাসের অযোগ্য : জাতিসংঘ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

ইহুদিবাদী ইসরায়েলের চলমান ভয়াবহ আগ্রাসনে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা ‘বসবাসের অযোগ্য’ হয়ে পড়েছে বলে ঘোষণা করেছে জাতিসংঘ। 

বিশ্ব সংস্থাটি বলেছে, ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা এতটা বেশে যে এই উপত্যকাকে আবার বাসযোগ্য করতে হাজার হাজার কোটি ডলার অর্থ এবং কয়েক দশক সময় লাগবে।

জাতিসংঘের ‘কনফারেন্স অন ট্রেড এন্ড ডেভেলপমেন্ট’ সংস্থা বা আঙ্কটাড বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে এ তথ্য জানিয়েছে। 

প্রায় চার মাস আগে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওপর ইসরায়েলের গণহত্যা অভিযানের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা শেষে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে আঙ্কটাড।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজার শতকরা ৮৫ ভাগ অধিবাসী তাদের সহায় সম্বল হারিয়েছে এবং উপত্যকার অর্থনৈতিক কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছ। ফলে বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এই উপত্যকার দারিদ্র ও বেকারত্ব পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

আঙ্কটাডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় কর্মক্ষম মানুষের মধ্যে বেকারত্বের হার ৭৯.৩ শতাংশে পৌঁছেছে এবং জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত উপত্যকার ৩৭ হাজার ৩৭৯টি ভবন আংশিক বা পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক শিশু। তাদের মাথা গোঁজার ঠাই এখন নেই বললেই চলে। মানুষের কোনো আয়ের উৎস নেই এবং তাদের খাবার, পানি, পয়োঃনিষ্কাশন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার সুযোগ পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস হয়েছে। 

আঙ্কটাডের প্রতিবেদনের উপসংহারে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার আর্থ-সামাজিক অবস্থাকে যুদ্ধ-পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে কয়েক দশক সময় লাগবে এবং তাও নির্ভর করছে পুরোপুরি বিদেশি সাহায্যের ওপর। 

সূত্র : ব্যারনস।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ