শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বকেয়া বেতনের দাবিতে ভালুকায় শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব প্রাথমিকে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: শায়খে চরমোনাই পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মিট আপ’ আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

অবাঞ্ছিত দাফন ও লাশ পোড়ানোর ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
সংগৃহীত

রাজবাড়ী গোয়ালন্দে ‘নুরাল পাগলা’র অবাঞ্ছিত দাফন ও পরবর্তী সময়ে লাশ পোড়ানোর ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ। 

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে ‘নুরাল পাগলা’ মারা যাওয়ার পর ইসলামিক রীতিনীতির বাইরে তাকে দাফন করা হয়েছে। তার লাশকে বাড়ির আঙিনায় ৬–১০ ফুট উঁচু ঘরে কাবার আদলে রাখা হয়েছে। এটি স্পষ্টভাবে ইসলামের কবর ও দাফন সংক্রান্ত বিধি-বিধানের পরিপন্থী। এই এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে এ ঘটনা গভীর প্রতিবাদ সৃষ্টি করেছে।

প্রশাসন যদি তখন সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করত, তাহলে এই ইসলাম বিরোধী দাফন প্রতিহত করা সম্ভব হতো। কিন্তু প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পরবর্তীতে উত্তেজিত জনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করলে সেখানে কিছু দুষ্কৃতিকারীর প্রবেশের সুযোগ তৈরি হয় এবং এরপর নুরাল পাগলার লাশ কবর থেকে তুলে পোড়ানোর ঘটনা ঘটে, যা আরও একটি স্পষ্ট ইসলাম বিরোধী কাজ।

বিবৃতিতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মহাসচিব বলেন, আমরা মনে করি, প্রথম ঘটনার সময় প্রশাসন কার্যকর থাকলে দ্বিতীয় ঘটনাটি এড়ানো সম্ভব হতো। সুতরাং সামগ্রিকভাবে দুটি ঘটনার ক্ষেত্রেই আমরা নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করছি: ইসলাম বিরোধীভাবে দাফন করা এবং লাশ পোড়ানো।

মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, আমরা গভীর আশঙ্কা প্রকাশ করছি যে, দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় উত্তেজনা সৃষ্টি ও উস্কানি দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা না থাকার কারণে মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হচ্ছে এবং আইন-বিরোধী কার্যকলাপের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। ইসলাম ধর্মের অনুসারী কখনোই লাশকে এভাবে দাফন বা পোড়ানোর অধিকার রাখে না।

তিনি বলেন, আমরা শুধু এই দুই ঘটনার নিন্দা জানাই না, বরং যারা প্রথম ঘটনার সময় আইনানুগভাবে ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ড রোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের দায়বদ্ধতারও তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি। দেশের শান্তি, আইনশৃঙ্খলা এবং ধর্মীয় স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য প্রশাসনের আরও জোরদার ও দায়িত্বশীল পদক্ষেপ অপরিহার্য।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ