ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ বলেছেন, নীলফামারী উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে এক শ্রমিক নিহত এবং অর্ধশতাধিক শ্রমিক আহত হওয়ার ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি উপেক্ষা করে বারবার কারখানা বন্ধ করা, বেতন-ভাতা বকেয়া রাখা এবং কোনো প্রকার সামাজিক নিরাপত্তা ছাড়াই শ্রমিক ছাঁটাই করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে শ্রমিকরা যখন শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নামে, তখন তাদের ওপর গুলি চালিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। এটি মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং রাষ্ট্রীয় দায়িত্বহীনতার চরম উদাহরণ।
আজ (৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫) রাজধানীর পুষ্পাদম রেস্টুরেন্টে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার অধিবেশনে অংশগ্রহণ করে তিনি এই নিন্দা জানান।
এসময় মাওলানা ইউনুস আহমাদ আরো বলেন, “চব্বিশ-পরবর্তী নতুন বাংলাদেশেও শ্রমিকবান্ধব শ্রমনীতি বাস্তবায়িত হয়নি। শ্রমিকরা এখনও অবহেলিত, শোষিত ও বঞ্চিত। কথিত উন্নয়ন হলেও শ্রমিকদের জীবন-জীবিকা আজও নিরাপত্তাহীন। বর্তমান পরিস্থিতি শ্রমিকদের জন্য ভয়াবহ সংকেত।”
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান বলেন, শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ সর্বদা শ্রমজীবী মানুষের পাশে থাকবে। একই সঙ্গে অবিলম্বে নিহত শ্রমিকের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান, আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণ, কারখানা বন্ধ ও শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং শ্রমিকদের ওপর গুলি চালানোর ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে।
সেক্রেটারি জেনারেল কে. এম. বিল্লাল হোসেনের সঞ্চালনায় শুরা অধিবেশনে আরো উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, মোঃ হারুনুর রশিদ, ওয়ায়েজ হোসেন ভূইয়া, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল এইচ এম রফিকুল ইসলাম, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ওবায়েদ বিন মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
এমএইচ/