শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
জুলাই সনদ অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের খেলাফত মজলিস রিয়াদ মহানগরী শাখার তরবিয়তি মজলিস দেশের ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা তালেবান সরকারের নিষিদ্ধের তালিকায় মওদুদীর বই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা পর্তুগালের যাত্রাবাড়ীতে এসি বিস্ফোরণে একই পরিবারের দগ্ধ ৪ দালাল ধরে গিয়েছিলেন ইরাকে, ময়লার ভাগাড়ে তিন টুকরায় মিলল লাশ দক্ষ কর্মীদের ভিসা ফি ১,৫০০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ ডলার করলেন ট্রাম্প নোয়াখালীতে অটোরিকশা উল্টে প্রাণ গেল নারীর ,আহত-৪ ইসলামী ছাত্র মজলিস সিলেট মহানগর, জেলা ও শাবিপ্রবি’র সহযোগী সদস্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত

শেখ মুজিবকে নিয়ে নাহিদের স্ট্যাটাস


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

‘শেখ মুজিবুর রহমান জাতির পিতা নন, তবে স্বাধীনতার জন্য তাঁর ত্যাগ স্বীকার করি’—এমন মন্তব্য করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, স্বাধীনতা অর্জনে শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা ও ত্যাগ স্বীকারযোগ্য হলেও তাঁর শাসনামলে সংঘটিত জাতীয় ট্র্যাজেডি ভুলে যাওয়া উচিত নয়। ১৯৭২ সালে জনবিরোধী সংবিধান চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল; পাশাপাশি শুরু হয়েছিল লুটপাট, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড এবং একদলীয় বাকশাল স্বৈরশাসনের ভিত্তি স্থাপন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী রাজনীতির মূল শিকড় মুজিব উপাসনা ও মুক্তিযুদ্ধ উপাসনার মধ্যে নিহিত। এসব ব্যবহার করে জনগণের ওপর অত্যাচার, জাতিকে বিভক্ত করা এবং নাগরিকদের শ্রেণিভেদে ভাগ করার রাজনৈতিক সংস্কৃতি চালু হয়েছে, যা গণতন্ত্রের আড়ালে আধুনিক জমিদারত্বের রূপ নিয়েছিল। তবে মুক্তিযুদ্ধ ছিল সকল মানুষের সম্মিলিত সংগ্রাম।

তিনি অভিযোগ করেন, কয়েক দশক ধরে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে নিজেদের পৈতৃক সম্পত্তি মনে করে শাসন করেছে, জবাবদিহি ছাড়া ক্ষমতা ভোগ করেছে এবং শেখ মুজিবের নামকে ব্যবহার করেছে দুর্নীতি ও দমননীতির ন্যায্যতা দিতে। তাঁর মতে, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান এই ‘জমিদারত্ব’ ভেঙে দিয়েছে। এখন আর কোনো ব্যক্তি, পরিবার বা মতাদর্শকে জনগণের অধিকার হরণ বা ফ্যাসিবাদ চাপিয়ে দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে না।

নাহিদ ইসলাম আরও লেখেন, ‘জাতির পিতা’ উপাধি কোনো ঐতিহাসিক সত্য নয়; এটি আওয়ামী লীগের তৈরি একটি ফ্যাসিবাদী হাতিয়ার, যা ভিন্নমত দমন ও রাষ্ট্রের একচেটিয়া দখলের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। বাংলাদেশ সব নাগরিকের সমান, এর জন্ম বা ভবিষ্যতের মালিকানা দাবি করার অধিকার কোনো একক ব্যক্তির নেই।

তিনি মুজিববাদকে ‘ফ্যাসিবাদী ও বিভাজনমূলক’ মতাদর্শ আখ্যা দিয়ে বলেন, এর অর্থ গুম, হত্যা, ধর্ষণ, মানবাধিকার লঙ্ঘন, জাতীয় সম্পদ লুণ্ঠন ও বিদেশে পাচার। একই সঙ্গে ইসলামোফোবিয়া, সাম্প্রদায়িকতা, সংখ্যালঘুদের জমি দখল এবং বিদেশি শক্তির কাছে সার্বভৌমত্ব বিক্রিও এর অন্তর্ভুক্ত। তাঁর অভিযোগ, গত ১৬ বছর ধরে শেখ মুজিবকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে জীবিত রাখা হয়েছে, আর তাঁর মূর্তির আড়ালে অপহরণ, হত্যা, লুণ্ঠন ও গণহত্যা চলেছে।

শেষে তিনি লিখেন, মুজিববাদ আজও একটি জীবন্ত বিপদ। একে পরাজিত করতে রাজনৈতিক, আদর্শিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের লক্ষ্য হলো একটি প্রজাতন্ত্র গঠন—যেখানে সব নাগরিক সমান, সার্বভৌম ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে কোনো দল, রাজবংশ বা নেতা জনগণের ওপরে স্থান পাবে না। বাংলাদেশ কারও সম্পত্তি নয়, এটি জনগণের প্রজাতন্ত্র।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ